ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অস্থিরতার নেপথ্যে কুচক্রী মহল

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অস্থিরতার নেপথ্যে কুচক্রী মহল

শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়

রাজধানীর শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের কতিপয়  কুচক্রী মহলের চক্রান্তের শিকার সদ্য অব্যাহতি নেয়া গভর্নিং বডির সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ওই চক্রের করা অর্থ আত্মসাৎ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত শেষে এমনটাই উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। 

তদন্ত কমিটিকে সুষ্ঠু তদন্তে এবং সরকারি কাজেও বাঁধা প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় শিক্ষক। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অধ্যক্ষ, সকল শিক্ষক ও ব্যাংক হিসাব বিবরণী অনুযায়ী ২০২১ সালের অক্টোবরে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণকালে প্রতিষ্ঠানটির এফডিআরের পরিমাণ ছিল সাত কোটি ৯৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা। 

চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণকালে এফডিআর আত্মসাৎ নয়, বরং এর পরিমাণ বাড়িয়ে তিনি রেখে যান ৮ কোটি ২৮ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকা। অর্থ আত্মসাতের পুরো অভিযোগটিই ছিল ভিত্তিহীন। 

শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চমাধ্যমিক শাখায় শিক্ষক সংখ্যা ১৭ জন, মাধ্যমিক শাখায় ৩৬ জন, প্রাথমিক শাখায় ১৯ জন, কর্মচারী (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি) ২২ জন। এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয়সহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতিদের মাধ্যমে নিয়োগ পান। 

সর্বশেষ সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন যখনই বিধিসম্মতভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় উদ্যোগী হন, ঠিক তখনই কতিপয় শিক্ষক ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তির প্রতিহিংসার শিকার হন তিনি। শুধু তাই নয়, শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি তদন্ত দলের কাছেও সরবরাহের সময় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে সরাসরি বাঁধা দেন বিতর্কিত উপায়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা। এতে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার কথাও উল্লেখ করে তদন্ত কমিটি। তাদের নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে অনেক অভিভাবক নানাবিধ কারণ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অবস্থান করে গল্প-গুজব করা, নানা পণ্যের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে তাদের এমন তৎপরতাও বন্ধ করেন তিনি। এতেই একটি কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রের রোশানলে পড়েন তিনি। অথচ তিনিই একমাত্র সভাপতি যিনি আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ধরণের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন বলে তদন্ত দলকে জানান প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। 

যৌন হয়রানির বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে অধ্যক্ষ জানান, এ সংক্রান্তে আদৌ কোনো শিক্ষিকা লিখিত কিংবা মৌখিক কোনো ধরণের অভিযোগই করেননি। শিক্ষা বোর্ডের তদন্তেও এ সংক্রান্তে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ কিংবা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুরো বিষয়টিই তাকে সামাজিক, পারিবারিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে স্বার্থান্বেসী কতিপয় শিক্ষক ও কুচক্রী মহলের চক্রান্তের বহির্ঃপ্রকাশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে তদন্ত কমিটি।

এসআর