ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভিকারুননিসায় ১৮ শিক্ষার্থীর সহোদরাকে ভর্তির নির্দেশ

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ৯ মে ২০২৩

ভিকারুননিসায় ১৮ শিক্ষার্থীর সহোদরাকে ভর্তির নির্দেশ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ

ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ১৮ শিক্ষার্থীর সহোদরাকে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৮ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে তাদের অভিভাবকের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী।

রুলে গত ১৬ জানুয়ারি বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২২ সংশোধন সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা) থেকে জারি করা পরিপত্র কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান।

পরে আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, বেসরকারি স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজ (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা, ২০২২ অনুসারে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থীর সহোদর, সহোদরা বা জমজ ভাই-বোন যদি একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে তবে ওই প্রতিষ্ঠানের ভর্তি যাচাই-বাছাই কমিটিকে তার ভর্তি নিতে বলা হয়েছে। এই ১৮ শিশুর সহোদরা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ে। সমস্যা হচ্ছে গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে নীতিমালাটিতে সংশোধন আনে। এতে সহোদর, সহোদরা বা জমজ ভাই-বোনদের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। কিন্তু এ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করেছে পরিপত্র জারির আগে। যে কারণে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা পরিপত্রটি চ্যালেঞ্জ করে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেছিলেন।

সোমবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে সংশোধিত নীতিমালার বিধিটি এই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। পাশাপাশি তাদের ভর্তি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×