আনন্দ উচ্ছ্বাসে ঈদ পুনর্মিলনী

প্রায় ৫ বছর ধরে অ্যাসোসিয়েশনের পথ চলা। প্রত্যেক বছরে ঈদ পুনমির্লনী থাকবে ইনশাআল্লাহ। আর আমি এও বিশ্বাস করি নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের সুযোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা অ্যাসোসিয়েশনকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অতিথিদের সঙ্গে সব শিক্ষার্থী একটা সুন্দর ফ্রেমবন্দি হোন। ক্যামেরাম্যান ছিল ইবির মেধাবী ছাত্র তৌফিকুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে ক্ষুদ্র পরিসরে ডা. মামুন সরকার ও আর দলবল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এতে সবাই অফুরান প্রাণশক্তি ফিরে পায়। কৃতী সংবর্ধনা ও ঈদ পুনমির্লনী যেন গাবতলীর সাবেক বর্তমান ও প্রতিষ্ঠিত সূর্যমুখদের একত্রিত করেছে

ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ করতে ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করে কৃতী সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। ঈদের তৃতীয় দিন এটির আয়োজন করা হয়। ভেন্যু ছিল বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাবতলীর প্রতিষ্ঠিত সূর্যমুখসমূহ যারা গাবতলী উপজেলার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন। একইসঙ্গে উপস্থিত ছিল গাবতলী থেকে চান্সপ্রাপ্ত বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্টরা। বেলা ১১ টায় প্রোগ্রামটি শুরু হয়। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাবতলী উপজেলার চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সহকারী সার্জন ডা. মামুন সরকার। 
এছাড়া বক্তব্য রাখেন গাবতলীর অ্যাসিল্যান্ড মাহমুদুল হাসান, সাস্টের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জোবায়ের বিন মুখলিস, সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. লতিফুল বারী, সাস্টের অধ্যাপক তাসিন হোসেন, পবিপ্রবির অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দীন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, ডুয়েটের অধ্যাপক ড. মোস্তাকুর রহমান, ডেন্টাল সার্জন ডা. রোকানুজ্জামান সোহাগ, বিসিএস স্বাস্থ্যের ডা. সাজেদুর রহমান, বিসিএস এডমিশনর সহকারী কমিশনার রতন কুমার দত্ত, দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিল প্রিয় চার মুখ; আল মাহমুদ, মাকসুদা, ওমর ও সুপ্ত। প্রাণচাঞ্চল্যকর সঞ্চালনায় প্রোগ্রামটি প্রাণবন্ত ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল রবিউল, সুমন, সাগর, মহন্ত, তৌফিক, সুরাইয়া, রূপসা, মিরা, সাদ্দাম, বজলুর, নাহিদ, আদিত্য, শ্রাবণ, মিম, মামুনসহ আরও অনেকে। উক্ত অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট দিয়ে। তাছাড়াও এ বছর বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ চান্সপ্রাপ্ত প্রায় ৭০ জন নবীন শিক্ষার্থীকে অ্যাসোসিয়েশন থেকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়, ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। সাংগঠনিক কাজে সর্বোচ্চ অবদান রাখার জন্য বর্তমান কমিটির সদস্যদের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

আয়োজনে অন্যতম আকর্ষণ কাজী মঈনুল ইসলাম ভাই; যিনি ২০১৮ সালে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বেস্ট ইউজ ওফ ডাটা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, তাকেও উষ্ণ অভিনন্দনসহ সম্মাননা স্মারক উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে প্রধান অতিথি বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাবতলী উপজেলার চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন ভাই এ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মতৎপরতায় খুশি হয়ে সভাপতির নিকট ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি মেহেদী হাসান নয়ন বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরে অ্যাসোসিয়েশনের পথ চলা। প্রত্যেক বছরে ঈদ পুনর্মিলনী থাকবে ইনশাআল্লাহ। আর আমি এও বিশ্বাস করি নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের সুযোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা অ্যাসোসিয়েশনকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অতিথিদের সঙ্গে সব শিক্ষার্থী একটা সুন্দর ফ্রেমবন্দি হোন। 
ক্যামেরাম্যান ছিল ইবির মেধাবী ছাত্র তৌফিকুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে ক্ষুদ্র পরিসরে ডা. মামুন সরকার ও আর দলবল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এতে সবাই অফুরান প্রাণশক্তি ফিরে পায়। কৃতী সংবর্ধনা ও ঈদ পুনমির্লনী যেন গাবতলীর সাবেক বর্তমান ও প্রতিষ্ঠিত সূর্যমুখদের একত্রিত করেছে। অনেকে খুঁজে পেয়েছে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনুপ্রেরণা। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ঈদ পুনর্মিলনী প্রাণবন্ত ছিল। এ যেন মিলন ও ঐক্যমন্ত্রের বহির্প্রকাশ। যা চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।