
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামে ১০ টাকার চা-পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির (২১) নামে এক ছাত্রদল নেতা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ জানান, শুক্রবার (১৩ জুন) বিকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে হুমায়ুন কবির তাঁকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। এসময় রাশিদ মাস্টারের বাড়ির সামনে গেলে একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে বাদল ও শামসুল হকের ছেলে রাশেদুল রানা পিছনদিক থেকে আক্রমণ করেন। এসময় হুমায়ুন দৌড়ে চান মিয়ার চা স্টলে আশ্রয় নিলে সেখানেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা।
একাধিক সূত্র জানায়, বাদলের বাবা আব্দুল কুদ্দুস নবগঠিত গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য।
নিহত হুমায়ুন কবির সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। তিনি সহনাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সোহাগ আরও জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ১০ টাকার চা-পানের টাকা নিয়ে তাদের সাথে দ্বন্দ্ব হয়েছিলো হুমায়ুনের। পরে বিষয়টি এলাকার মুরুব্বিরা মিমাংসা করে দেন।
গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন বলেন, মাত্র ১০টাকা চা পানের জন্য এমন একটি হত্যাকাণ্ড কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। খুনি যেই হোক বা যে দলেরই হোক সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফেজ মোঃ আজিজুল হক উপস্থিত ছিলেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে চা পান খাওয়া নিয়ে গতকাল বন্ধুবান্ধবের সাথে বাগবিতণ্ডার জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুন অর রশিদ জনকন্ঠকে জানান- হুমায়ুনের শরীরে তিনটি আঘাত খুবই গুরুতর। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অভিযুক্তদের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আসিফ