
নাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দিঘইর দেশ পাড়ায় গ্রামে জোনাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও উপজেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করলে শুক্রবার বজলুর রহমান নামের একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
আহতরা হলেন, উপজেলার দিঘইর গ্রামে করম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৫), মৃত জুরান প্রামানিকের ছেলে রওশন আলী (৬৫), হাসেম আলী (৪৫), জিয়ারুল ইসলাম (৫০), আফসার আলী ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭) মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৫০) ও সাদ প্রামনিক (৪৭)।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরিফুল ইসলাম বলেন, জোনাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছেলে সোহেল রানার সাথে দির্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসতেছিল আমার। এর সুত্র ধরে দিঘইর দেশ পাড়া বটতলায় গ্রামে জুয়ের চায়ের দোকানের ভিতরে সোহেল রানাসহ ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্র হামলা করে। এতে আমার পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে।
সোহেল রানা বলেন, আরিফুল ইসলাম ও তার লোকজন এলাকার জনগনের বিভিন্ন রকম হেনস্তা করে আসতেছিল। বুধবার রাতে আমার লোকজনের উপর বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা হামলা করে। এতে আমার তিনজন লোক আহত হয়। আমার লোকজন নিজেদের আত্তরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, উভয় পক্ষই মামলা করেছেন। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
আসিফ