
-
সিনিয়র শিক্ষক (অব.)
গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা
সঠিক উত্তরটি জেনে নেই:
১) ত্বক দিয়ে আমরা কোনটি অনুভব করি?
ক) স্বাদ খ) তাপ
গ) ঘ্রাণ ঘ) শ্রবণ
উত্তর : খ) তাপ
২) মস্তিষ্ক কোথায় থাকে?
ক) মেরুদ-ে খ) খুুলির ভেতরে
গ) মাংসপেশিতে ঘ) বহিঃকর্ণে
উত্তর : গ) খুলির ভেতরে
৩) অশ্রু শব্দের অর্থ কি?
ক) ধুলাবালি খ) জীবাণু
গ) চোখের পানি ঘ) চোখের পাতা
উত্তর : গ) চোখের পানি
৪) অশ্রু গ্রন্থি থেকে কোনটি নিঃসৃত হয়?
ক) ঘাম খ) হরমোন
গ) চোখের পানি ঘ) রঞ্জক পদার্থ
উত্তর : গ) চোখের পানি
৫) স্কে¬রার কাজ কি?
ক) পুষ্টি সরবরাহ
খ) লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন করা
গ) চোখের আকৃতি রক্ষা করা
ঘ) আলো প্রবেশে সাহায্য করা
উত্তর : খ) চোখের আকৃতি রক্ষা করা
৬) কোনটি আলোক সংবেদি স্তর?
ক) স্কে¬রা খ) কোরয়েড
গ) রেটিনা ঘ) সবগুলো
উত্তর : খ) সবগুলো
৭) কিসের সাহায্যে অস্থিগোলক নড়াচড়া করানো যায়?
ক) পেশি খ) ত্বক
গ) পা ঘ) কর্নিয়া
উত্তর : ক) পেশি
৮) আমাদের চোখ নিচের কোনটির মতো?
ক) অণুবীক্ষণ যন্ত্র খ) ছোট ক্যামেরা
গ) দূরবীক্ষণ যন্ত্র ঘ) প্রিজম
উত্তর : খ) ছোট ক্যামেরা
৯) কর্নিয়ার অবস্থান স্কে¬রার -
ক) সামনে খ) পিছনে
গ) মাঝে ঘ) পার্শ্বে
উত্তর : ক) সামনে
১০) আমরা কোনটি দ্বারা শুনি?
ক) চোখ খ) কান
গ) মুখ ঘ) নাক
উত্তর : খ) কান
১১) কোনটি মাংস ও কোমলাস্থি দিয়ে গঠিত?
ক) পিনা খ) ক্ষুদ্রঅস্থি
গ) কর্ণকুহর ঘ) স্যাকুলাম
উত্তর : ক) পিনা
১২) কোনটি শ্রবণ ইন্দ্রিয়?
ক) নাক খ) চোখ
গ) কান ঘ) ত্বক
উত্তর : গ) কান
১৩) ঘ্রাণ ঝিল্লির অবস্থানÑ
ক) নাসারন্ধ্রে খ) নাসাপথে
গ) রেটিনায় ঘ) কর্নিয়ায়
উত্তর : খ) নাসাপথে
১৪) স্বাদ ইন্দ্রিয় অঙ্গ কোনটি?
ক) কান খ) নাক
গ) জিহহ্বা ঘ) ত্বক
উত্তর : গ) জিহ্বা
১৫) কোনটি ত্বকের কাজ?
ক) শরীর নিরোগ রাখা
খ) লোমকূপ দিয়ে ঘাম বের হতে না দেওয়া
গ) বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা
ঘ) কুষ্ট হতে না দেওয়া
উত্তর : গ) বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা
১৬) দাদ রোগের লক্ষণ কী?
ক) বমি হওয়া
খ) দানার মতো ফুসকুড়ি ও আঁশ দেখা দেওয়া
গ) হাতের দুই আঙ্গুলের মধ্যবর্তী স্থানে গুটি হওয়া
ঘ) হাত পা নেতিয়ে পড়া
উত্তর : খ) দানার মতো ফুসকুড়ি ও আঁশ দেখা দেওয়া
১৭) খোসপাঁচড়া কীসের রোগ?
ক) চোখের খ) কানের
গ) ত্বকের ঘ) দাঁতের
উত্তর : গ) ত্বকের
১৮। কানের যতœ নিতে করণীয়Ñ
র) গরম পানি দিয়ে কান পরিষ্কার করা
রর) উচ্চ শব্দে গান না শুনা
ররর) গোসলের সময় কানে যেন পানি না ঢোকে সেদিকে সতর্ক থাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) র ও রর খ) র ও ররর
গ) রর ও ররর ঘ) র, রর ও ররর
উত্তর : গ) রর ও ররর
খ) নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই:
১। জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয় কেন?
উত্তর : মুখগহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গটি হলো জিহ্বা। জিহ্বার উপরে একটি আস্তরণ আছে, এতে বিভিন্ন স্বাদ গ্রহণের জন্য স্বাদ কোরক থাকে যা জিহ্বার সামনে, পেছনে ও পাশে বিশেষ বিশেষ স্বাদ গ্রহণে সাহায্য করে। জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদ কোরকের উপস্থিতি না থাকায় সেখানে কোনো স্বাদ অনুভূত হয় না। জিহ্বায় উপস্থিত স্বাদ কোরকের উপস্থিতিতে স্বাদ অনুভব করা যায় বলেই জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয়।
২। মধ্যকর্ণ কীভাবে শ্রবণে সহায়তা করে?
উত্তর : বহিঃকর্ণ ও অন্তঃকর্ণের মাঝখানে মধ্যকর্ণ অবস্থিত। এটি একটি বায়ুপূর্ণ থলি, যার মধ্যে তিনটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাড় বা অস্থি রয়েছে। অস্থিসমূহের মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ বা ঢেউ অন্তঃকর্ণে পৌঁছায়। এছাড়া কানের সাথে গলার সংযোগের জন্য একটি নল আছে, যার কাজ হলো কর্ণপটহের বাইরের ও ভেতরের বায়ুর চাপ সমান রাখা। এভাবেই মধ্যকর্ণ আমাদের শ্রবণে সহায়তা করে।
৩। চোখের রেটিনার কাজ কী?
উত্তর : রেটিনা অক্ষিগোলকের সবচেয়ে ভেতরের আলোক সংবেদী স্তর। এখানে রড ও কোণ নামক দুই ধরনের কোষ রয়েছে। চোখের লেন্সটি চক্ষু গোলককে সামনে ও পেছনে দুটি অংশে বিভক্ত করে। এ অংশগুলোকে প্রকোষ্ঠ বলে।
রেটিনার বিভিন্ন প্রকোষ্ঠগুলোর কাজ নিম্নরূপ:
(র) চক্ষুগোলকে আলোক রশ্মি প্রবেশ করাতে সহায়তা করে।
(রর) চক্ষুগোলকে পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
(ররর) চক্ষুগোলকের আকার বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৪। চোখের লেন্স নষ্ট হয়ে গেলে কী ঘটবে?
উত্তর : মানুষের চোখের লেন্স পিউপিলের পেছনে অবস্থিত দ্বি-উত্তল লেন্স।
লেন্সটার মাঝখানের দুই দিক উঁচু আর অগ্রভাগ সরু। এটি এক ধরনের সিলিয়ারি পেশি দ্বারা আটকানো থাকে। এ পেশিগুলো সংকুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। এদের সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে লেন্সটি তার প্রয়োজন মতো আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। তাই চোখের এ গুরুত্বপূর্ণ লেন্সটি নষ্ট হয়ে গেলে বাইরের পরিবেশ থেকে পাওয়া বস্তুর সঠিক আকৃতি রেটিনার উপর প্রতিবিম্ব তৈরী করে না। ফলে ত্রুটিযুক্ত দৃষ্টির সৃষ্টি হয়।
৫। ত্বকের কাজ কী?
উত্তর : ত্বকের কাজগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
র) দেহের ভেতরের কোমল অংশকে বাইরের আঘাত, ঠা-া, গরম, রোদ ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
রর) দেহে রোগ জীবাণু ঢুকতে বাধা দেয়।
ররর) ঘাম বের করে দিয়ে শরীর ঠা-া ও সুস্থ রাখে।
রা) দেহের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়।
৬। আইরিশকে চোখের মণি বলা হয় কেন?
উত্তর : আইরিশ পেশি দিয়ে তৈরি কালো গোলাকার পর্দা। আইরিশের মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে যাকে পিউপিল বলে। আইরিশের পেশিগুলো সংকুচিত ও প্রসারিত হতে পারে। এর ফলে আলোক রশ্মি রেটিনায় প্রবেশ করতে পারে। তাই আইরিশকে চোখের মনি বলা হয়।
৭। চোখের যতœ নেওয়া প্রয়োজন কেন?
উত্তর : সংবেদী অঙ্গসমূহের মধ্যে চোখ অন্যতম। চোখের মাধ্যমেই আমরা পৃথিবীর আলো দেখতে পাই।
সকল ধরনের আনন্দ বেদনাকে স্মৃতিপটে মধুর করে তুলি। চোখ ছাড়া সবকিছু অন্ধকার। চোখ একটি কোমল অঙ্গ। তাই চোখকে খুব যতেœ রাখতে হবে। নিয়মিত শাকসবিজ ও ফলমূল খেতে হবে। চোখ মোছার কাজে পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। জীবনকে উপভোগ করতে হলে এর যতœ নেওয়া প্রয়োজন।
৮। আমরা শুনতে পাই কেন?
উত্তর : শব্দ তরঙ্গ কর্ণছত্র দ্বারা গৃহীত হয়ে কর্ণকুহর দিয়ে কর্নপটহে আঘাত করার ফলে শব্দ তরঙ্গ স্পন্দিত হয়। স্পন্দিত শব্দ তরঙ্গ মধ্যকর্ণে তীব্রতর হয় এ অবস্থায় অন্তঃকর্নে পৌছে সংবেদী কোষগুলোকে উদ্দীপ্ত করে। এ উদ্দীপনা অডিটরী স্নায়ুর সাহায্যে মস্তিষ্কে প্রেরিত হলে আমরা শুনতে পাই।