
সহকারী শিক্ষক
কড়ই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আদমদীঘি, বগুড়া
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১। সংক্রামক রোগ কী?
উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ।
২। বায়ুবাহিত রোগ কী?
উত্তর : বায়ুবাহিত রোগ হলো সে সকল রোগ যা হাঁচি-কাশি বা কথাবার্তা বলার সময় বায়ুতে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
৩। সংক্রামক রোগ বিস্তারের একটি কারণ লেখ।
উত্তর : হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।
৪। কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে কোন রোগ ছড়ায়?
উত্তর : জলাতঙ্ক।
৫। ছোঁয়াচে রোগ কী?
উত্তর : রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে যে সকল রোগ সংক্রমণ হয় তাই ছোঁয়াচে রোগ।
৬। এইডস কোন ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায়?
উত্তর : এইচআইভি ভাইরাস।
৭। দুটি ছোঁয়াচে রোগের নাম লেখ।
উত্তর : ফ্লু ও ইবোলা।
৮। ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগ ছড়ায় কিভাবে?
উত্তর : মশার কামরের মাধ্যমে।
৯। সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের একটি উপায় লেখ।
হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকতে হয়।
১০। বয়ঃসন্ধি কী?
উত্তর : বয়ঃসন্ধি হলো জীবনের এমন এক পর্যায় যখন আমাদের শরীর শিশু অবস্থা থেকে কিশোর অবস্থায় পৌঁছায়।
১১। বয়ঃসন্ধিকালে একটি শারীরিক পরিবর্তন লেখ।
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে একটি শারীরিক পরিবর্তন হলো দ্রুত লম্বা হওয়া।
১২। মেয়েদের বয়ঃসন্ধি কত বছর বয়সে শুরু হয়?
উত্তর : ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সে।
১৩। ছেলেদের বয়ঃসন্ধি কত বছর বয়সে শুরু হয়?
উত্তর : ৯ থেকে ১৫ বছর বয়সে।
১৪। বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা হলে তুমি কী করবে তা একটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে মা-বাবা, শিক্ষক কিংবা বড় ভাই বা বোনের সাথে পরামর্শ করবো।
১৫। দুটি পানিবাহিত রোগের নাম লেখ।
উত্তর : ডায়রিয়া ও আমাশয়।
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর :
১। পানিবাহিত দুটি রোগের নাম লেখ। পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের চারটি উপায় লেখ।
উত্তর : পানিবাহিত দুটি রোগের নাম হলো
i. ডায়রিয়া রর. আমাশয়।
পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের চারটি উপায় নিচে দেওয়া হলো :
i. পানি দূষণ রোধ করা।
ii. নিরাপদ পানি ব্যবহার করা
iii. হাত জীবাণুমুক্ত রাখা
iv. চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
২। কোন ভাইরাসের মাধ্যমে এইডস রোগ ছড়ায়? প্রাণী ও পোকামাকড়বাহিত দুটি সংক্রামক রোগের নাম লেখ। সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তোমার তিনটি করণীয় লেখ।
উত্তর : এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এইডস রোগ ছড়ায়।
প্রাণী ও পোকামাকড়বাহিত দুটি সংক্রামক রোগের নাম হলো-
i. জলাতঙ্ক রর. ডেঙ্গু।
সংক্রামক রোগ প্রতিকারে আমার তিনটি করণীয় হলো-
i. সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
ii. নিরাপদ পানি ব্যবহার করা।
iii. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা।
৩। সংক্রামক রোগ কী? সংক্রামক রোগের বিস্তারের দুটি কারণ লেখ। সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তিনটি করণীয় লেখ।
উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন-ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ।
সংক্রামক রোগের বিস্তারের দুটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো-
i. হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।
ii. দুষিত পানি পানের মাধ্যমে।
সংক্রামক রোগ প্রতিকারে তিনটি করণীয় হলো নিম্নরূপ :
i. রোগাক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
ii. পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
iii. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
৪। বয়ঃসন্ধিকালের তিনটি শারীরিক পরিবর্তন লেখ। বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক যতেœ তোমার তিনটি করণীয় লেখ।
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালের তিনটি শারীরিক পরিবর্তন হলো-
i. দ্রুত লম্বা হওয়া।
ii. ত্বক তৈলাক্ত হওয়া।
iii. ছেলেদের গলার স্বরের পরিবর্তন হওয়া।
বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক যতেœ আমার তিনটি করণীয় হলো-
i. এই সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবো।
ii. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করবো।
iii. দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে শিক্ষক কিংবা পরিবারের সাথে পরামর্শ করবো।
৫। বাড়ির আশপাশে কৌটা, টায়ার, ফুলের টব পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন কেন সে সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : বাড়ির আশপাশে কৌটা, টায়ার, ফুলের টব পরিস্কার রাখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে তিনটি বাক্য নিচে দেওয়া হলো-
i. এসব জিনিসে পানি জমতে পারে।
ii. জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে।
iii. জমে থাকা পানিতে ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে।