ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

প্রভিশন ঘাটতিতে ৮ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ৩ অক্টোবর ২০২৩

প্রভিশন ঘাটতিতে ৮ ব্যাংক

খেলাপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকের নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি

খেলাপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যাংকের নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি। চলতি বছরের জুন শেষে আটটি ব্যাংক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এগুলো হলো অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি টাকার বেশি। গত মার্চ শেষে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোকে ঋণের মান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়।

মুনাফা থেকে রাখতে হয় এই নিরাপত্তা সঞ্চিতি। তবে কোনো কোনো ব্যাংক প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসেবে রেখে দেওয়ায় সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতে ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কম। জুন শেষে ব্যাংক খাতের সার্বিকভাবে নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি ২১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। তবে এ ঘাটতি মার্চের তুলনায় অনেক বেশি। মার্চ শেষে সার্বিক ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি, বিদেশীসহ সব ধরনের ব্যাংক যেসব ঋণ বিতরণ করে, সেগুলোর গুণমান বিবেচনায় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিরাপত্তা সঞ্চিতি হিসেবে আলাদা হিসেবে জমা রাখতে হয়।

কোনো ঋণ শেষ পর্যন্ত মন্দ ঋণে পরিণত হলে তাতে যেন ব্যাংক আর্থিকভাবে ঝুঁকিতে না পড়ে, সেজন্য এ নিরাপত্তা সঞ্চিতির বিধান রাখা হয়েছে। ঋণের মান অনুযায়ী খেলাপি ঋণের বিপরীতে অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নি¤œ বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কু-ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।

×