ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা চেম্বার আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় সালমান এফ রহমান

জুনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ২৩ মার্চ ২০২৩

জুনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে

আগামী জুন মাস নাগাদ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে

আগামী জুন মাস নাগাদ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরকে দ্রুত অটোমেশন করতে হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, মুদ্রাস্ফীতি সমস্যা এখন বৈশ্বিক সমস্যা। প্রথমে করোনা মহামারির সমস্যা দেখা দিলো, অর্থনীতিতে স্থবিরতা চলে এসেছিল। আমরা আমাদের সক্ষমতা দিয়ে এটা মোকাবিলা করতে পেরেছি। এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের তিন-চার স্থানে প্রভাব পড়ে। ডলার শক্তিশালী হয়ে যায়, কমে যায় টাকার মান। জ্বালানির রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে এলএনজির মূল্যবৃদ্ধি আমাদের ভাবিয়ে তোলে। মাত্র ১৪-৭০ শতাংশ দাম হয়ে যায় এলএনজির। তিনি বলেন, এসব সমস্যার পরই তৈরি হয় ফুড ক্রাইসিস।

তবে প্রধানমন্ত্রীর একক প্রচেষ্টা ছিল যে, কোনো খালি জায়গা ফেলে রাখা যাবে না। ফুড ক্রাইসিস থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। শেয়ারবাজার নিয়ে তিনি বলেন, ছোট বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে বিনিয়োগ না করে নিজেরাই বিনিয়োগ করেন। এতে যখন তারা লোকসানে পড়েন তখন বলেন, এর দায় সরকারকে নিতে হবে। কেন সরকার এ দায় নেবে? এখানে ছোট বিনিয়োগকারী ৯০-৯৫ শতাংশ। তবে প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগকারী নেই। তাই এ ধরনের বিনিয়োগকারী বাড়াতে হবে। বন্ড মার্কেটকে রিভাইভ-হেলদি করার জন্য যা যা করার, করতে হবে। ব্যাংকে সুদহার সীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা সঠিক দিকেই এগুচ্ছি বলে দাবি করেন তিনি।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দেওয়ায় হবে এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য। উচ্চাকাক্সক্ষী বাজেট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাজেট ঘাটতি যেন বেশি না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। তবে এসব করতে গিয়ে যেন জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে না যায় তাও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি কিছুটা চাপের মুখে থাকলেও রেমিটেন্স বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলতা আছে, এক্সপার্ট বেড়েছে। চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ সব খাতে ভালো করছে। প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমলেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটেনি যেটা বিশ্বের উন্নত দেশে ঘটেছে। খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের জমি যেন ফাঁকা না থাকে। আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা উন্নয়নশীল দেশে যাচ্ছি ট্যাক্স জিডিপি বাড়ানো উচিত। এই খাতে আমরা পিছিয়ে আছি।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর বলেন, এবারের বাজেটটি গতানুগতিক হবে না। বাজেটের সঙ্গে জড়িতদের চিন্তা করতে হবে করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বের ব্যাংক দেউলিয়া ইত্যাদি বিষয়। কারণ এর প্রভাব আমাদের এখানেও পড়তে পারে। এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের আয় দরকার, আবার ব্যবসাও দরকার। এনবিআরের সঙ্গে আমরা কথা বলি কিন্তু সেটি এভাবে নেওয়া হচ্ছে না। রাজস্ব কালেকশন যেমন দরকার, পলিসিও দরকার।

এনবিআর জেলা-উপজেলায় অফিস করবে শুনেছি, কিন্তু সেখানে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এটা না হলে কর বাড়বে না। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, এনবিআর নিজেকে কী ভাবে, জানি না। তবে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করি। এনবিআর যেভাবে চলছে তাতে ট্যাক্স বাড়ছে না, কমে যাচ্ছে।

×