ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৫৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ২০:২০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৫৭ শতাংশ

প্রতীকী ছবি।

চলতি অর্থবছরে গত ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ডিসেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।

বিবিএস জানায়, খাদ্যে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশে। যা এরআগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

বিবিএস তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি হয়েছে। এই মাসে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর জানুয়ারি মাসে শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে ডিসেম্বর মাসের তুলনায় গ্রামে-শহরে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। কিন্তু গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি এখনো ১০ শতাংশের চেয়ে বেশি। 

এদিকে মূল্য হ্রাসের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সরবরাহ বাড়ায় মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। শাক-সবজিসহ বাজারে সব ধরণের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়া শিল্প খাতেরও উৎপাদন বাড়ছে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বিবিএস তার পরিসংখ্যানে বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষাউপকরণের দামও। তবে গ্যাসের দাম বাড়ার প্রভাব পরবর্তী সময়ে মূল্যস্ফীতিতে দেখা যেতে পারে জানান এক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, শহরের ৪২২ ধরেণর পণ্যের দামের উপর ভিত্তি করে প্রতিমাসে মূল্যস্ফীতি প্রকাম করে থাকে বিবিএস। আর গ্রামের এ তালিকায় স্থান পায় ৩১৮ ধরণের খাদ্য ও অখাদ্য পণ্য। ৬৪ জেলার ১৪৪টি বাজার থেকে পণ্যের দাম যাচাই করে থাকে সংস্থাটি। 

 

ইয়াহইয়া নকিব

×