ছবি: সংগৃহীত
পাঞ্জাবের পঞ্চকুলার বাগেশ্বর ধাম থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে আত্মহত্যা করলেন দেরাদুনের একটি পরিবারের সাত সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, পরিবারের শেষ জীবিত সদস্য প্রবীণ মিত্তল রাস্তার ধারে বসে বলছেন— “ওরা সবাই মরে গেছে, আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে মারা যাব।” কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিত্তল পরিবার আর্থিক সংকটে ভুগছিল। পরিবারের ছয়জন—স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ—একটি গাড়ির ভেতরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হন। গাড়ির ভেতরে বমির চিহ্ন থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমি রাস্তার ধারে একজন মানুষকে বসে থাকতে দেখি। জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পরিবারসহ বাগেশ্বর ধাম থেকে ফিরছিলেন, কোনো হোটেল না পেয়ে গাড়িতে রাত কাটাচ্ছিলেন। তারপর বলেন, ‘সবাই মারা গেছে, আমি আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে মারা যাব।’ তখনও বুঝতে পারিনি, কিন্তু পরে গাড়ির ভেতরে তাকিয়ে শিউরে উঠি।”
পঞ্চকুলার ডিসিপি হিমাদ্রি কৌশিক বলেন, “আমরা ওজস হাসপাতালে খবর পেয়ে ছুটে যাই। সেখানে পৌঁছে জানতে পারি ছয়জন মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আরও একজনকে সেক্টর-৬ এর সিভিল হাসপাতালে আনা হলে তাকেও মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থল ও গাড়ির অভ্যন্তরে পাওয়া আলামতের ভিত্তিতে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেটির বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
মুমু
