ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

মদিনা সনদ সম্পর্কে হেফাজতের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২ ডিসেম্বর ২০২০

মদিনা সনদ সম্পর্কে হেফাজতের ব্যাখ্যা

বাংলাদেশে হিংস্র মৌলবাদীদের কার্যকলাপ নিয়ে বার বার লিখছি। তার কারণ, যে উদ্দেশ্যে এবং যে আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য ত্রিশ লাখ মুক্তিযোদ্ধা, দেড় হাজার বুদ্ধিজীবী প্রাণ দিয়েছেন, সাড়ে তিন লাখ নারী সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছেন, সেই বাংলাদেশের আদর্শিক ভিত্তি ধ্বংস করার জন্য এত বড় হুমকি আর কখনও আসেনি। দেশে মৌলবাদী উত্থানের নায়ক ছিল জামায়াত। এখন এই নায়ক হেফাজত। তবু জামায়াতীরা জাতির পিতার অবমাননা করে কখনও প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেনি, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার হুমকি দেয়নি। কিন্তু হেফাজতীরা সেই হুমকি দিচ্ছে। ঢাকার ধোলাই খাল মাঠে খেলাফত মজলিসের যুব খেলাফতের সমাবেশ এবং গত শুক্রবার (২৭ নবেম্বর) হাটহাজারিতে হেফাজতের নবনির্বাচিত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর বক্তব্য থেকে দেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের আরেকটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার আভাস পাওয়া যায়। দুইটি সমাবেশ থেকেই জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙ্গার হুমকি দেয়া হয়। ধোলাই খালের সমাবেশ থেকে শাপলা চত্বরে আরেকটি সমাবেশ করার হুমকি শোনা গেছে। অথচ দুটি অনুষ্ঠানই ছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। যেমন, হাটহাজারির অনুষ্ঠানটি ছিল তিনদিনের তাফসিরুল কোরান মজলিসের সমাপনী সভা। এই দুটি সভাতেই হুমকি-ধমকিপূর্ণ উগ্র রাজনৈতিক বক্তব্য উচ্চারিত হওয়ায় কারোই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এখন হেফাজত ও খেলাফতের সাইনবোর্ডের আড়ালে দেশের মৌলবাদী অপশক্তি আবার শক্তি সঞ্চয় করে মাথা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। জামায়াতসহ সকল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ধীরে ধীরে একজোট হচ্ছে। এখন প্রশ্ন, দীর্ঘকাল দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়ার পর এখন ধর্মান্ধ অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে আওয়ামী লীগ কি হেরে যাবে? বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারী হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে আসা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দিনভর মাঠে থাকায় এই বীরপুঙ্গব আর হাটহাজারিতে কেন, চট্টগ্রামেও আসেননি। তাফসিরুল কোরানের সমাপনী সভায় তারই প্রধান অতিথি হয়ে আসার কথা ছিল। ছাত্র-জনতার ভয়ে তিনি আর হাটহাজারিতে ‘তশরিফ’ আনতে সাহস পাননি। রবীন্দ্রনাথ এই অপশক্তি সম্পর্কেই লিখেছেন- ‘যার ভয়ে ভীত তুমি/সে অন্যায় ভীরু তোমা চেয়ে/যখনি জাগিবে তুমি,/তখনই সে পালাইবে ধেয়ে’- ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে ‘লাখ লাখ তওহিদী জনতার’ বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান ঘটাতে গিয়ে কেবল ওয়াটারপাইপের সামনেই এই জনতা (মাদ্রাসার ছাত্র) দল বেঁধে পালিয়েছিল। আর গত শুক্রবার ছাত্রজনতার ভয়ে হাটহাজারিতে পা রাখেননি ‘তওহিদী জনতার’ এক সেনাপতি। ছাত্রলীগ, যুবলীগের এই সাহসী পদক্ষেপে বুকে আশা জেগেছে ধর্মান্ধ অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধেও আওয়ামী লীগ প্রথমে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে পারে, কিন্তু ছাত্র যুব জনতাকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামলে যুদ্ধে হারবে না। এই প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুব লীগের প্রতিও আমার বিনীত অনুরোধ, চট্টগ্রামে ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হককে প্রতিহত করতে আপনারা যে সাফল্য দেখিয়েছেন, সারা দেশে ধর্মান্ধ ফ্যাসিবাদের অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একই সাফল্য দেখাতে হবে। জাতির পিতার সম্মান ও আদর্শ ধরে রাখার জন্য এটাই আপনাদের কাজ। টেন্ডারবাজি, লাইসেন্সবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন আপনাদের কাজ নয়। এসব কাজে আপনাদের আগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা কলঙ্কিত হয়। এর আগে গত ২২ নবেম্বর সিলেটে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ মদিনা সনদ অনুযায়ী চলবে। তাহলে মদিনা সনদ ছাড়া অন্য কোন সনদ এদেশে চলবে না। মদিনা সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব কিছু এদেশে দমন করতে হবে। যারা ইসলামের শত্রু, রাসুলের দুশমন এবং নাস্তিক ও মুরতাদ বাংলাদেশে তাদের কবর তৈরি করতে হবে। ইসলামের শত্রুদের কবর রচনার জন্যই হেফাজতের অভ্যুদয়।’ সিলেটের এই সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বাবুনগরী আরও বলেন, ‘কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের। আমি মনে করি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও কাদিয়ানীদের মুসলমান মনে করেন না। শুধু ব্যক্তিগতভাবে কাদিয়ানীদের কাফের মনে করলে চলবে না, রাষ্ট্রীয়ভাবেও কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করতে হবে।’ আল্লামা বাবুনগরীর এই ঘোষণা ও দাবি সম্পর্কে কিছু বলা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ শাসন করতে চান, একথা নিজেই বলেছেন। হযরত মুহম্মদ (স) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর মদিনার খ্রীস্টান ও ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যে চুক্তি করেন, তাকেই মদিনা সনদ বলা হয়। এই মদিনা সনদে মুসলমানদের সঙ্গে খ্রীস্টান ও ইহুদিদের একই জাতি (মিল্লাত) ঘোষণা করে তিনি মুসলমানদের সঙ্গে সমান নাগরিক অধিকার দেন। তাদের সকলের জন্য সমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এই সময় খ্রীস্টানেরা তাদের গির্জায় মুসলমানদের প্রবেশাধিকার দেন এবং মুসলমানেরা তাদের মসজিদে খ্রীস্টান ও ইহুদিদের প্রবেশাধিকার, এমনকি রাত্রিবাসের অধিকার দেন। একবার একদল ইহুদি মসজিদে রাত্রিবাস করার সময় মলমূত্র দ্বারা মসজিদ অপবিত্র করে পালিয়ে যায়। ফজরের নামাজের সময় মুসলমানেরা নামাজ পড়তে এসে মসজিদের এই অবমাননা দেখে তরবারি উঁচু করে দৌড়ে গিয়ে অপরাধী ইহুদিদের ধরে এনে শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাসুলুল্লাহ (স) তখন তাদের নিবৃত্ত করেন এবং বলেন, ‘মসজিদ তোমাদের কাছে পবিত্র স্থান, কিন্তু ইহুদি ও খ্রীস্টানদের কাছে পবিত্র স্থান নয়। সুতরাং মসজিদ অবমাননার দায়ে তোমরা তাদের শাস্তি দিতে পার না।’ একবার এক মুসলমানকে নবিজীর কাছে ধরে আনা হয়। বলা হয় সে নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে, কিন্তু তার সমস্ত কাজকারবার ইসলামের পরিপন্থী। তাকে কাফের বলে ঘোষণা করে শাস্তি দেয়া হোক। রাসুল্লাহ (স) তাকে শাস্তি দিতে ও কাফের বলতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, ‘যে একবার কলেমা পাঠ করেছে, সেই মুসলমান। যতক্ষণ পর্যন্ত সে এক আল্লাহর অস্তিত্ব এবং তার নবীর আনুগত্য অস্বীকার না করে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে কাফের বলা যাবে না।’ ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হওয়ার দেড় হাজার বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশে জুনায়েদ বাবুনগরীর মতো একদল তথাকথিত রসুলপ্রেমিক দাবি করছেন কাদিয়ানীরা কাফের। কাদিয়ানীরা ইমাম আহমদ নামক এক ধর্ম সংস্কারককে তাদের নেতা বলে মানেন এবং কলেমা পড়েন ও রাসুলুল্লাহকে শেষ নবী বলে মানেন। বাবুনগরীরা কোন্ অধিকারে তাদের কাফের বলবেন এবং বাংলাদেশী হিসেবে তাদের নাগরিক অধিকার খর্ব করবেন? তাহলে তো মুসলমান নয় এই অজুহাতে অমুসলমান সকল নাগরিকের অধিকার খর্ব করে বাংলাদেশকে সুন্নিস্তান বানাতে হয়। কাদিয়ানীদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয় মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তানে। ভারতে এবং বিশ্বের সকল দেশেই সমান নাগরিক অধিকার তারা ভোগ করেন। পাকিস্তানে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণার দাবি ছিল জামায়াতীদের। সেখানে ১৯৫০ সালে জামায়াতীরা কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণার দাবিতে দাঙ্গা বাধায় এবং লাহোরসহ পাঞ্জাবে ৫০ হাজার কাদিয়ানী তাতে নিহত হয়। কাদিয়ানী হত্যার দায়ে জামায়াত নেতা মওলানা মওদুদীর ফাঁসির আদেশ হয়। সৌদি আরবের বাদশাহের সুপারিশে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট তার দণ্ডাদেশ রদ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতীরা আবার পাকিস্তানী জামায়াতীদের প্ররোচনায় কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচার শুরু করে। ব্রিটেন হলে রেস রিলেসন্স এ্যাক্ট অনুযায়ী জামায়াতীরা এই অপরাধে শাস্তি পেত। যতদিন বঙ্গবন্ধুর শাসনে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল, ততদিন জামায়তীরাই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ দল ছিল। ফলে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত সফল করতে পারেনি। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে জামায়াত যখন বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে, তখন কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করার দাবি তুলে তাদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালানো শুরু করে। কাদিয়ানী বা আহমদীয়া মসজিদগুলোতে তারা ভাঙচুর চালায়। কাদিয়ানীদের সম্পর্কে দেওবন্দের বিখ্যাত আলেম আল্লামা হোসেন আহমদ মাদানী বলেছেন, ‘কাদিয়ানীদের কাফের বা অমুসলমান ঘোষণার এখতিয়ার রাষ্ট্রের নেই। রাষ্ট্র সকল নাগরিকের সমান অধিকারের পাহারাদার। রাষ্ট্র কখনও কোন সম্প্রদায়ের ধর্ম পরিচয় চিহ্নিত করতে পারে না, কিংবা তার অধিকার খর্ব করতে পারে না। মদিনা সনদে রাসুলুল্লাহ্ (স) একই কথা বলেছেন।’ দেড় হাজার বছর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আল্লামা মাদানীরই বক্তব্য অনুসরণ করে সম্ভবত বলেছেন, তিনি মদিনা সনদ অনুসরণ করবেন। অর্থাৎ, মদিনা সনদে যেমন সকল ধর্ম-মতের মানুষের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানেও তেমনি তা দেয়া হয়েছে এবং তিনি তা মেনে চলবেন। বাবুনগরী মদিনা সনদের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সঠিক নয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী মদিনা সনদ মানার কথা নিশ্চয়ই বলেননি। ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। তাতে জাতিভেদ ও জাতিবিদ্বেষের কথা ভাবাই যায় না। ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয়েছে দেড় হাজার বছর আগে। এই দেড় হাজার বছরে ইসলামে শিয়া, সুন্নি প্রভৃতি ৭২টি ‘ফিরকা’ তৈরি হয়েছে। হানাফি, হাম্বলি প্রভৃতি মাজহাব তৈরি হয়েছে আধা ডজনের বেশি। এই ফিরকাগুলোর মধ্যে ধর্মীয় আচার আচরণ পালনে বহু পার্থক্য আছে। এখন এই পার্থক্যের ভিত্তিতে ইসলামের এক ফিরকা যদি অন্য ফিরকাকে অমুসলমান বলতে শুরু করে তাহলে পৃথিবীতে প্রকৃত মুসলমান কতজন পাওয়া যাবে তাতে সন্দেহ আছে। খ্রীস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ সকল ধর্মের মধ্যেই এই ধরনের বিভাজন আছে। কিন্তু তারা একটি অংশ অন্য অংশের ধর্ম পরিচয় নিয়ে বিতর্ক ও বিতণ্ডা সৃষ্টি করে না। দুর্ভাগ্য আমাদের, বাংলাদেশের মুসলমানের। তাদের মধ্যে একশ্রেণীর তথাকথিত আলেমের সৃষ্টি হয়েছে, যারা আলেম নয়, অজ্ঞ ও অর্ধশিক্ষিত মোল্লা। জুনায়েদ বাবুনগরীরা যে কোরান হাদিস দর্শিয়ে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করবেন, তাও পারছেন না। কারণ, ইসলামে ৭২ ফিরকা সৃষ্টি হওয়ার বহু আগে পবিত্র কোরান ও হাদিস নাজিল হয়েছে। তাতে এই ফিরকাগুলো সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। কাদিয়ানী এবং জামায়াতীদের (সম্ভবত হেফাজতীদেরও) ওয়াহাবি মতবাদের জন্ম ব্রিটিশ আমলে। কাদিয়ানীদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছে। জামায়াতীদের ব্যবহার করতে চেয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। পাকিস্তান আন্দোলন ও পাকিস্তানের গোড়ার অধিকাংশ নেতাই ছিলেন শিয়া এবাং কাদিয়ানী। জিন্না, এসকেন্দার মির্জা, স্যার জাফরুল্লা চৌধুরী, ইয়াহিয়া খানÑ তারা সকলেই ছিলেন শিয়া এবং কাদিয়ানী। তাদের কাফের অথবা অমুসলমান ঘোষণা করতে বাবুনগরীরা রাজি আছেন কি? তাহলে তো বলতে হবে মুসলিম লীগের ও পাকিস্তানের সাবেক অধিকাংশ নেতা কাফের। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা অমুসলিম এবং ইরান একটি শিয়া রাষ্ট্র। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নয়। আওয়ামী লীগ যদি বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্ব বজায় রেখে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে চায়, তাহলে দেশে উগ্র ধর্মান্ধদের উত্থান কঠোর হাতে রোধ করতেই হবে। তাদের সঙ্গে আপোসের চোরাবালিতে পা দিলে পতন ও বিপর্যয় সুনিশ্চিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব ও দূরদর্শিতায় আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা আছে। আমার বিশ্বাস, কারও পরামর্শেই তিনি বাংলাদেশের ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রশ্রয় দেবেন না। [লন্ডন, ১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২০]
×