ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হোসেনপুরে লাম্পিস্কিনে আক্রান্ত গবাদিপশু

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ১৯ মে ২০২২

হোসেনপুরে লাম্পিস্কিনে আক্রান্ত গবাদিপশু

সংবাদদাতা, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ ॥ কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরে গবাদিপশুর মধ্যে নতুন একধরনের ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর চিকিৎসা নিয়ে এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা জানান, গ্রামের প্রবীণদের কাছে শুনেছেন, গ্রামে আগে কখনো এমন রোগ দেখা যায়নি। পুমদী ইউনিয়নের দক্ষিণপুমদী গ্রামের খামারী মোহাম্মদ আলী জানান, এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গুটি হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে গরুর শরীরের তাপমাত্রা (জ্বর) বেড়ে যায়। এতে আক্রান্ত গরুগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দু-তিন দিনের মধ্যে গুটিগুলো ফেটে কষ (রস) ঝরে। একপর্যায়ে ক্ষতগুলো পচে গরুর শরীর থেকে মাংস খসে পড়ে। এ সময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই গরুর শরীরে এই ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশেও এই ভাইরাস ঢুকেছে। এই ভাইরাসটি লাম্পিস্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নামে পরিচিত। গত এক মাসে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে অন্তত ২৫০টি গবাদিপশু। ওই দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ লুৎফর রহমান বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরে গরুর শরীরে এই ভাইরাসটি দেখা দিয়েছে। অথচ এখনো এর কোনো প্রতিষেধক এখনো বের হয়নি। মশা ও মাছির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে উপজেলায় কোনো গরু মারা যাওয়ার সংবাদ তাঁরা এখনো পাননি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল মান্নান জানান, এই ভাইরাস নিয়ে কৃষকের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। হোসেনপুর পশু হাসপাতালে গরু নিয়ে আসলে চিকিৎসা ও ঔষধ দিচ্ছি এবং স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের চিকিৎসায় অনেক গরুই সুস্থ হয়ে উঠছে। কৃষকদের গোয়ালঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উপদেশ দিয়েছেন এবং মশারী দিয়ে ডেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৭হাজার ১শত গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে হাসপাতালের ডাক্তার ও এলএসপি কর্মকর্তারা কৃষকদের কে উঠোন বৈঠক এর মাধ্যমে এ রোগের সচেতনতা মূলক পরামর্শ দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
×