ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আত্রাইয়ে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে চলছে ‘সীতাতলার মেলা’

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

আত্রাইয়ে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে চলছে ‘সীতাতলার মেলা’

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর আত্রাইয়ে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহাসিক সীতাতলার মেলা। সেই যুগ যুগ থেকে উপজেলার জামগ্রামে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই সীতাতলার মেলা। কথিত আছে, শত শত বছর পূর্বে শ্রীরামচন্দ্র তার স্ত্রী সীতা দেবীকে এখানে বনবাস দিয়েছিলেন। আর সীতা বনবাসের এক পর্যায় জামগ্রামের বিশাল বনে একটি প্রকান্ড বটগাছের নিচে আশ্রয় নেন এবং বাঁকি সময় এ গাছটির নিচেই নাকি তিনি কাটিয়ে দেন। এর পার্শে রয়েছে এক বিরাট ইন্দারা। সীতা দেবী এই ইন্দারার পানিতেই স্নান করতেন। বিশ্বকর্মা এক রাতেই নাকি নির্মাণ করেছিলেন এই ইন্দারা। এ কারণে সীতার নামেই মেলার নামকরন করা হয় ‘সীতাতলার মেলা’। শুরুর দিকে এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলা থাকলেও বর্তমানে আর তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন এ মেলা হিন্দু, মুসলিম সকলের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। এদিকে এবারে করোনা ভাইরাস জনিত কারনে ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে সকল প্রকার সভা সমাবেশে সরকারি বিধি নিষেধ আরোপ করা হলেও মেলা প্রেমিক লোকরা মানছেন না এ বিধি নিষেধ। প্রতি বছর বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিনে এ মেলা হওয়ার কথা থাকলেও এ মেলা চলে কয়েকদিন ধরে। এবারেও শুক্রবার মেলার দিন ধার্য থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকেই দোকানপাট আর লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে জামগ্রামের মেলা এলাকা। আত্রাই থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী আমরা মেলা কর্তৃপক্ষকে মেলা না বসানোর জন্য বলেছি। তারপরও কিছু দোকানপাট আগেই বসে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি সেখানে যেন লোকসমাগম না হয়। যেহেতু এ দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ে পুজা রয়েছে তাই তাদের পুজার মধ্য দিয়েই যেন মেলা শেষ হয়ে যায় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার মেলায় নাগরদোলা, প্রসাধনী, মাছ-মিষ্টি, পুতুল নাচ, লটারী, চড়কি, জুয়া, ফার্নিচারসহ নানা রকম দোকান বসেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা এই মেলার আয়োজন করে। মেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নামে মেলা হলেও মুলত এই মেলায় তাদের কোন কর্তৃত্ব নেই।
×