ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গাইবান্ধায় রকি হত্যা মামলার মুল আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ১৮ অক্টোবর ২০২১

গাইবান্ধায় রকি হত্যা মামলার মুল আসামী গ্রেফতার

সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার মুল কিলার কাঞ্চন ও সোহাগকে সোয়া তিনমাস পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাইবান্ধা শহরের ব্রীজ রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। কাঞ্চন ও সোহাগ গ্রেফতার হওয়ায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রকির পরিবার সহ সর্বস্থরের মানুষ খুশি। তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। তবে, দ্রুত রকি হত্যার রহস্য উম্মোচনের দাবি গাইবান্ধাবাসীর। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুর রউফ জানান, পুলিশের কাছে গোপন খবর ছিলো রকি হত্যার প্রধান আসামী কাঞ্চন ও এজাহার নামীয় আসামী সোহাগ গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম তাদের ফলো করে। পরে শহরের ব্রীজরোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এই মামলায় এ পর্যন্ত চারজন এজাহার নামীয় সহ নয়জনকে গ্রেফতার করা হলো। এছাড়া ঘটনার পর পরই গ্রেফতারকৃত পাঁচজন, সম্প্রতি ইমরান ও রবিনসহ সাতজন জেল হাজতে আবদ্ধ রয়েছে। তারা হলেন, সদরের কিশামত ফলিয়া গ্রামের তোফাজ্জল ফরাজির ছেলে শাহজাহান ফরাজী, পুর্ব কোমরনই এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে সাইদার রহমান, মাস্টার পাড়া এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে শাদ মাহমুদ সৈকত, পুর্বপাড়া এলাকার নবাব আলীর ছেলে প্রধান আসামী কাঞ্চনের বড় ভাই মানিক মিয়া ও আবু সোহরাবের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম নাহিদ, ইমরান পুর্বপাড়া এলাকার ইলিয়াছ আলী ওরফে বাঙ্গালীর ছেলে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাইমিনুজ্জামান রবিন একই এলাকার গাইবান্ধা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশাদুজ্জামান হাসুর ছেলে। মামলার বাদি নিহত ছাত্রলীগ নেতা রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান রোস্তম বলেন, মুল কিলার কাঞ্চন ও সোহাগ গ্রেফতার হয়েছে শুনে খুবই খুশি হয়েছে আমার পরিবারের লোকজন, এলাকাবাসী, রকি র বন্ধু বান্ধব সহ সর্বস্থরের মানুষ। এখানে নিঃসন্দেহে পুলিশ প্রসংশার দাবিদার। তবে রকি হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ খুনিদের ফাঁসীর দাবি জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান রকি মোটরসাইকেল যোগে অসুস্থ্য মায়ের ওষুধ কিনে বাড়ী ফিরছিল। পথে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট সড়কের হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির মোড়ে পথরোধ করে রকিকে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়।
×