ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাটহাজারীতে হালদার তীরে দৃষ্টিনন্দন আশ্রয়ণ প্রকল্প

প্রকাশিত: ১২:০৪, ৩১ জুলাই ২০২১

হাটহাজারীতে হালদার তীরে দৃষ্টিনন্দন আশ্রয়ণ প্রকল্প

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি ॥ হাটহাজারী উপজেলার গুমান মর্দ্দন ইউনিয়নে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদার তীরে দিগন্তজুড়ে সবুজের ভাঁজে ভাঁজে গড়ে উঠেছে নিরাশ্রয় দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প । ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ হালদা নদীর তীরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো মানুষের দৃষ্টি কাড়ে। ২০শে জুন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালেই দেশবাসীর দৃষ্টি কেড়েছিল প্রকল্পটির রূপ-সৌন্দর্য্য। হালদার তীরে লাল- সবুজের ঘর, প্রতিটি ঘরে সাদা ও লাল-সবুজের মিথস্ক্রিয়া। এ যেন বাংলাদেশের গর্বের লাল-সবুজের মিলিত প্রয়াস। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোনো পর্যটন স্পট। এই কর্মযজ্ঞ তত্ত্বাবধান করেছেন হাটহাজারী উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। উপজেলার গুমান মর্দ্দন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, এখানে নির্মিত হয়েছে ২৬টি ঘর রয়েছে । এ প্রকল্পে পানি-বিদ্যুৎ সুবিধা, ইবাদত খানা, বিদ্যালয়, নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য কমিউনিটি হল থেকে শুরু করে একটি শহরে যেমন সুযোগ-সুবিধা থাকে তার সবই থাকবে। সরকারের প্রতিটি বিভাগ এখানে সমন্বিতভাবে কাজ করেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ -এ স্লোগান নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে ২৬ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমির মালিকানা দিয়ে ২৬টি আধাপাকা নতুন ঘর দেয়া হয়। দৃষ্টিনন্দন আশ্রয়ণ প্রকল্পটির হাটহাজারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি চমৎকার লোকেশনে। চারদিকে সবুজ প্রকৃতি ঘেরা। মাত্র দেড়শ’ ফুট দূরত্বে রয়েছে মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২৬টি ঘর দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচে মোট ১০টি ঘর এবং ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা খরচে ষোলটি ঘর দেয়া হয়। এখানে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। সঙ্গে একটি পুকুর খনন করে দেয়া হয়েছে। পুকুরে মাছ চাষের জন্য মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ লাগানো হবে। এক কথায় যত ধরনের নাগরিক সুবিধা শহরের মানুষ পায় তা এখানেই করা হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ তত্ত্বাবধানকারী, হাটহাজারী উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, হাটহাজারীর এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে ‘ প্রধানমন্ত্রীর উপহার’ স্লোগানটির প্রতিফলন ঘটেছে। চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান স্যারের দিক নির্দেশনায় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি’র মূল্যবান পরামর্শে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখানে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, ডিপ-টিউবওয়েল, পুকুরের পাশাপাশি আশ্রয়ণগুলোকে ঘিরে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, হাট-বাজারসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা।
×