ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

লকডাউন

রাজধানীতে পরিবহন সঙ্কট

প্রকাশিত: ২৩:০০, ২৪ জুন ২০২১

রাজধানীতে পরিবহন সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার দ্বিতীয় দিনে আরও কড়াকড়ি ছিল ঢাকায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকায় ঢুকতে পারেনি কোন যানবাহন। এতে রাজধানীতে সাময়িক পরিবহন সঙ্কট দেখা দেয়। নগরীর সবকটা টার্মিনালে দেখা গেছে বাসগুলো সারি সারি পার্কিং করা। শ্রমিকদের টার্মিনালেই অবস্থান করতে দেখা গেছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহের শেষ হওয়ায় বিকল্প উপায়ে অনেকেই ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাবার অপেক্ষায় রয়েছে। রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলোতে ছোট যানবাহনে শেয়ার করে তারা ঢাকা ছাড়া প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনাল ও এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায়- অফিসগামী মানুষ সকালে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকার প্রভাব সিটিতেও পড়েছে। কমে গেছে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা। তাই বাসের জন্য যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। বুধবার সকালে বিমানবন্দর, মহাখালী মগবাজার ফার্মগেট গুলিস্তান আসাদগেট, শুক্রাবাদ, গাবতলী ও সায়েদাবাদ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সকাল থেকেই এসব সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি। আন্তঃজেলার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের কেবল রাজধানীতে চলাচল করা বাসগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার প্রতি দুই সিটে বসছেন একজন করে। যার ফলে যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেকটাই কম। ফলে একটি বাস থামলেই তাতে হুড়োহুড়ি করে উঠতে দেখা যায় যাত্রী। এমন অবস্থায় বেশি বিপাকে পড়ছেন চাকরিজীবী নারী এবং অসুস্থরা। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জাকিয়া। তিনি বললেন, দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করেও কোন বাসে উঠতে পারছি না। যে বাসগুলো আসছে পুরুষরা আগে উঠে যাচ্ছেন। আমরা নারীরা উঠতেই পারছি না। এমন করেই প্রতিদিন অফিসে যেতে হয়, আবার অফিস থেকে ফিরতে হয়। আজহার ইসলাম নামের একজন বলেন, এ রুটে চলাচলকারী অন্যান্য জেলার বাসের সংখ্যা একেবারেই নেই। তাই সরকারের উচিত বিআরটিসির বাস নামানো, যাতে করে মানুষকে দুর্ভোগ না পোহাতে হয়। সড়কে গণপরিবহন একেবারে নেই বললেই চলে। যা আসছে সেখানেও সিট খালি নেই। এখন সময় মতো অফিসে পৌঁছানোই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। লকডাউনে সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি জানিয়ে ডিএমপির ট্রাফিক সার্জেন্ট সুমন মিয়া বলেন, সকাল থেকেই সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি। গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। আর এই সময়টায় মানুষের চাপ বেশি থাকায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রæততম সময়ের মধ্যে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার। সকালে গাবতলীতে গিয়ে দেখা যায়-মঙ্গলবার রাত থেকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এখানে পাবনা থেকে আগত শাহানা পারভীন জানান, তিনি স্বামী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ধানমণ্ডির শুক্রাবাদে ভাগ্নির বাসায় ওঠেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরতে গাবতলীতে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের। তিনি বলেন, তিন দিন আগে ঢাকায় এসেছি ডাক্তার দেখাতে। এখন বাড়ি ফিরে যাব কিন্তু গাড়ি নেই। অথচ এখনই আমার বাড়ি ফেরা ফরজ। কিন্তু গাবতলীতে এসে গণপরিবহন না পেয়ে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বিপদে পড়েছি। মহাখালীতে হাসনা বানু নামের এক যাত্রী জানান, তিনি কষ্ট করে সোমবার রাতে ঢাকায় এসে মঙ্গলবার ডাক্তার দেখানোর পর বুধবার আর ফিরে যেতে না পেরে আটকা আছেন। বিকল্প উপায়ে ক’জন মিলে একটা গাড়ি খোঁজার চেষ্টা করা হলেও মিলছে না। নিকুঞ্জ নামের অপর এক যাত্রী বলেন, মঙ্গলবার আমার শাশুড়ির চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসি। শাশুড়িকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করেছি। জরুরী প্রয়োজনে আবারও গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ফিরতে হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কষ্ট হলেও আমাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাড়ি ফিরতে হবে। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়ে তাদের অভিযোগ লকডাউনের ঘোষণাটা হঠাৎ না দিয়ে আগাম জানিয়ে দিলে ভাল হতো। তাহলে ভেবেচিন্তে ঘর থেকে বের হতো মানুষ। এমনক দুর্দশায় পড়তে হতো না। গাবতলীতে দায়িত্বরত দারুসসালাম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট মির্জা মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, গণপরিবহন ঢাকার বাইরে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। জরুরী প্রয়োজন বাদে, আমরা প্রাইভেটকার তল্লাশি করছি। যেসব প্রাইভেটকার সরকারী আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালবাহী গাড়িতে করে মানুষ ঢাকার বাইরে যাচ্ছে না। মানুষ এখন অনেক সচেতন। সরকারী আদেশ অমান্য করায় একটি প্রাইভেটকারকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাজশাহীতে বাড়ল সর্বাত্মক লকডাউন ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে রাজশাহীতে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। চলবে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সিটি মেয়রসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জরুরী বৈঠক করা হয়েছে। সেই বৈঠকে রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লকডাউনের পাশাপাশি উপজেলা এলাকায় বিধিনিষেধ বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয় যেন মানুষ অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া এলাকার বাইরে যেতে না পারে। নাটোরের ৮ পৌরসভা লকডাউন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলার ৮টি পৌরসভায় লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির অনলাইন সভায় লকডাউনের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৯ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার নাটোর, সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, বনপাড়া, গোপালপুর, বাগাতিপাড়া, নলডাঙ্গা পৌরসভা লকডাউনের আওতায় থাকবে। এর আগে নাটোর ও সিংড়া পৌরসভা দুই দফায় গত ২২ জুন পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় ছিল। গোপালপুর পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউন ॥ সংবাদদাতা জানান, লালপুরের গোপালপুর পৌরসভা এলাকায় চলছে কঠোর লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং মাস্ক ব্যবহার না করার জন্য ১৭ জনকে ৩ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খুলনায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও খুলনায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে ছিলেন। মহানগরীসহ সারা জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। লকডাউনের প্রথম দিন মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮২ জনকে এক লাখ ৪০ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা এবং ২৮ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। বুধবারও নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন স্থানে দোকান খোলার দায়ে জরিমানা করা হয়। ফটিকছড়িতে লকডাউন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বুধবার থেকে শুরু হওয়া কড়া বিধিনিষেধ ৩০ জুন পর্যন্ত বলবত থাকবে। এ সময় অভ্যন্তরীণ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কড়া বিধিনিষেধ বলবত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। উপজেলার চারটি প্রবেশদ্বার দিয়ে কোন গণপরিবহন ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। মহাসড়কের ফটিকছড়ি এলাকায় কোন ধরনের দূরপাল্লার যানবাহন থামতে দেয়া হচ্ছে না। টঙ্গীতে লোকজন বিপাকে ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, করোনা আক্রমণ থেকে ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে জারি করা লকডাউন চরম বিপাকে ফেলেছে ঢাকা থেকে টঙ্গী এবং টঙ্গী থেকে ঢাকায় যাতায়াত করা মানুষকে। টাঙ্গাইল থেকে ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, লকডাউনে মাকের্ট, শপিংমল, ছোট-বড় দোকান বন্ধ থাকলেও টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বুধবার সকাল থেকেই টাঙ্গাইল পৌর শহরের নতুন বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যের দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়। রাজবাড়ীতে ঢিলেঢালা \ লকডাউনের দ্বিতীয় দিন রাজবাড়ীতে ঢিলেঢালাভাবে চলেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সকাল থেকেই শহরের সড়কগুলোতে ইজিবাইক, রিক্সা, মোটরসাইকেল, অটোবাইক, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস, নসিমন-করিমন চলতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করেই চলছে সাধারণ মানুষ। অনেকের মুখে নেই মাস্ক, অনেকে মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। বাংলাবাজারে ফেরিতে মানুষের চাপ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, মঙ্গলবার ভোর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মায় লঞ্চ, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার বন্ধ রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে জরুরী সেবা ছাড়া বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সকল ফেরি বন্ধ রয়েছে। জরুরী সেবায় নিয়োজিত ফেরিতে রাজধানীমুখী যাত্রীরা গাদাগাদি করে উঠছে। পিরোজপুর থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস-লঞ্চ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, লকডাউনে পিরোজপুর থেকে ছেড়ে যায়নি কোন দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ। করোনা প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা নেয়া হলেও অনেক বেশি বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। ঠাকুরগাঁওয়ে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সাত দিনব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেও করোনা বিস্তার রোধ না হওয়ায় এবার ঠাকুরগাঁওয়ে সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এই সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে। নারায়ণগঞ্জে প্রশাসন বেশ তৎপর ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, নারায়ণগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন বেশ তৎপর রয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছেন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বুধবার ভোর থেকেই নগরীর চাষাঢ়াসহ বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে ৩০টি চেকপোস্ট বসিয়ে তৎপরতা শুরু করে জেলা পুলিশ। একইসঙ্গে জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। জয়পুরহাটে আরও দুই পৌরসভা লকডাউন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল পৌরসভা এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গত ৭ জুন জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি পৌরসভা এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল প্রকার পরিবহন, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল যা চলমান রয়েছে। বাগেরহাটে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাটে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে জেলা করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির জরুরীসভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান এ ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। লকডাউনের ফলে বাগেরহাটে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় লোকজনের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে কৃষিপণ্য পরিবহন ও জরুরী সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা এর আওতামুক্ত থাকবে। সোনালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত, কার্যক্রম বন্ধ ॥ কচুয়া উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সরকারী জরুরী সেবা ব্যতীত এ শাখার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কচুয়া শাখার ব্যবস্থাপক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রবীন্দ্র নাথ গাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
×