ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে ৩০জুন পর্যন্ত লকডাউন

বাংলাবাজার ঘাটে জরুরী সেবায় নিয়োজিত ফেরিতে মানুষের চাপ

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৩ জুন ২০২১

বাংলাবাজার ঘাটে জরুরী সেবায় নিয়োজিত ফেরিতে মানুষের চাপ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে মঙ্গলবার ভোর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। লকডাউনে আন্তজেলা ও দূর পাল্লার সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মায় লঞ্চ, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার বন্ধ রয়েছে। বুধবার থেকে সকাল থেকে জরুরী সেবা ছাড়া বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সকল ফেরি বন্ধ রয়েছে। জরুরী সেবায় নিয়োজিত ফেরিতে রাজধানীমুখী যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠছে। লকডাউনের মধ্যেও মঙ্গলবার বিকেলে জরুরী সেবার ফেরিতে দূর পাল্লার পরিবহন উঠতে দেখা গেছে। তাদের স্বাস্থবিধি মানার কোনো বালাই নেই। করোনার মহামারীর সংক্রমনরোধে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু মানুষের অসচেতনতার কারণে লকডাউনের সুফল কোনো কাজে আসছে না। করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে ঢাকাকে আপাতত বিচ্ছিন্ন করেছে। তবুও মানুষ জেনেশুনে নানা অজুহাতে ঢাকায় প্রবেশ করছে। বাংলাবাজার ঘাটে জরুরী পণ্যবাহী ট্রাকের চেয়ে প্রাইভেট গাড়ীর আধিক্য বেশি। প্রাইভেট গাড়ীর চাপে জরুরী সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে সড়ক মহসড়কে ইজিবাইক, ইঞ্জিন চালিত রিক্সা, ভ্যান, ভটভটি চলাচল করছে। পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ফিডার রোড দিয়ে আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে উঠছে এসব যান। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সংখ্যা কিছুটা কম। এই সুযোগে ছোট ছোট যানবাহন ২/৩ গুণ ভাড়া আদায় করছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই জেলার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া প্রায় সকল ধরণের দোকান বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের লকডাউন কিছুটা ঢিলে-ঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। জেলায় করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়া ও পাশর্^বর্তী গোপালগঞ্জ জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার কারণে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদারীপুর জেলার ৪ উপজেলার মধ্যে ৩ উপজেলার সাথে গোপালগঞ্জের কোটালাপাড়া ও মকসুদপুর উপজেলা সীমান্ত এলাকা। কোটালীপাড়া ও মকসুদপুর উপজেলার সাথে মাদারীপুরের এই তিন উপজেলার মানুষের অবাধ যাতায়াত। কোটালীপাড়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেলটা ধরণ) পাওয়া গেছে। এটি সীমান্তবর্তী রাজৈর উপজেলার সবচেয়ে বেশি কাছে। এতে মাদারীপুর রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।
×