ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১১ জুন ২০২১

বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য

সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, যার আকার ছয় লাখ তিন হাজার ছয় শ’ একাশি কোটি টাকা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে এ বাজেটটি কেবল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নয়, বরং যখন বিশ্বব্যাপী করোনার বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্ব লড়ছে তেমনি সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ বাজেট পেশ করা হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা ১৩তম বাজেট এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বাজেট। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রথম বাজেট পেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সংযুক্ত করে বাজেট পেশ করেছিল ১৯৭২ সালে। পরবর্তীতে আবার ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরের বাজেট অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া পেশ করেন, যদিও আন্তঃকালীন বাজেট অর্থ উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ ঘোষণা করেছিলেন, যা নির্বাচিত সরকার অনুমোদন করেছিল। বর্তমান করোনাকালীন অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়ে ‘জীবন ও জীবিকার’ মধ্যে সাযুজ্য রেখে বাজেট ঘোষণা করা একটি কঠিন কর্ম হলেও সরকার সুন্দরভাবে জীবনকে বাস্তবসম্মতভাবে সুসংগঠিত কিভাবে করা যায় তার জন্য একটি রূপরেখা প্রদান করেছে। বস্তুত এ বছরে ঘোষিত বাজেট আগামী অর্থবছরের যে বিষয়টি আমাকে চমককৃত করেছে সেটি হচ্ছেÑ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। বাজেটের এই যে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ঘোষণা সেটি জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মূল উৎস আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা-ভাবনার ফসল। এক্ষণে স্থানীয় পর্যায়ে যাতে অর্থনীতিকে বিস্তৃত করা যায় সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন, তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন এবং তৃণমূলের লোকজনকে একযোগে কাজ করতে হবে উদ্ভাবনী ও ধীশক্তিমূলক এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ড স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে। কেউ যেন অযথা কোন সরকারী প্রকল্প ধরে না রাখে সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। যারা সরকারী প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে অকারণে অবহেলা করবেন তাদের অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা উচিত। বাজেটের দ্বিতীয় যে বৈশিষ্ট্য ভাল লেগেছে সেটি হচ্ছে কৃষি অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কৃষি অর্থনীতি ও তৎসংশ্লিষ্ট কৃষিনির্ভর শিল্প, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ক্ষুদ্র ধারক ও বাহক স্থানীয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, পল্লী উন্নয়ন, প্রকল্প পরিকল্পনা ও পরিচালনা এবং সামষ্টিক অর্থনীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা এবং বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অবদান রাখার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন কেউ যদি দরিদ্র মানুষের ছাগল ধরে দু’হাজার টাকা জরিমানা করে তারপর আবার ছাগল সরিয়ে ফেলে এবং পরবর্তীতে অবশ্য চাপে পড়ে ছাগল ফেরত দেয়, তার পক্ষে আর যাই হোক বাজেট বাস্তবায়ন তৃণমূল পর্যায়ে কিভাবে সম্ভব? আবার নারায়ণগঞ্জে মানুষ সাহায্য চেয়ে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পত্রিকান্তরে এসেছে, সেজন্য আবেদন থাকবে সৎ, নৈতিকভাবে বলীয়ান এবং ইগো প্রবলেমমুক্তদের বিভিন্ন স্থানীয়ভাবে পদায়ন করা হোক। সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু প্রিভেনশন ইজ ব্যাটার দেন কিউর। এবারের বাজেটের নীতিমালায় নিম্ন আয় থেকে আরম্ভ করে উচ্চ আয়ের সবার জন্য নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে। নীতি হিসেবে ভাল, কিন্তু বাস্তবায়ন যারা করবেন তাদের জন্য দরকার হচ্ছে সচেতনভাবে কাজ করা। ব্যাস্টিক থেকে আরম্ভ করে ব্যক্তি পর্যায়ে যথাযথভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানুষের জন্য উন্নয়নের প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে সম্মুখ স্তরে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মূল স্তরে যার যার অবস্থানে থেকে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বল্পসংখ্যক মানুষের জন্য অধিকাংশ মানুষের ক্ষতি হয়। বাজেটে নীতিমালা বাস্তবায়নে যতটুকু সক্ষমতা প্রয়োজন তা পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর করা হোক। দেশের জনগণকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অংশীদারিত্বে আনতে সরকারপ্রধান সার্বক্ষণিকভাবে প্রয়াস নিচ্ছেন। তার আলোয় আলোকিত হয়ে অন্যদেরও যথাযথভাবে স্বাধীনতা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। করোনাভাইরাসকালীন কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, পিপিই, ভ্যাকসিন প্রভৃতির দাম হ্রাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারী পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য, ল্যাব প্রস্তুত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা যেত। দেশে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য নীতিমালা ঘোষণা করা প্রয়োজন ছিল, যেখানে কেবল বিদেশী কোম্পানির ভ্যাকসিন এদেশে প্রস্তুত হবে না, বরং স্থানীয় পর্যায়েও ভ্যাকসিন যাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেইনটেইন করে উৎপাদন হয় সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি, নিড়ানি ও মাড়াই কলসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন সহায়তায় এবং ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাজা ফল, মুড়ি, ক্রোকারিজ সামগ্রী, হাইব্রিড গাড়ি এসব পণ্যের দাম হ্রাস করা হয়েছে। সবাই জানেন যে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা পরিচালনার জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। বস্তুত বাজেট তাৎক্ষণিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এদিকে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের নীতিমালা কর্মসূচী এবং পরিকল্পনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের পরিকল্পনার মধ্যে এক বছরের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের একটি সংগঠিত তালিকা এবং তৎসংশ্লিষ্ট বরাদ্দকে বুঝিয়ে থাকে। মোটাদাগে দেখা যায় যে, প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে দেশের মানব উন্নয়নকেন্দ্রিক পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন কাঠামোকে সর্বাগ্রে স্থান দেয়া হয়েছে। কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে যাতে ব্যবহার হয়। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, আইএমএফ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, বিশ্বব্যাপী ৬% হারে এবং ৪.৪% হারে যথাক্রমে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ঘটবে। আইএমএফ যে প্রাক্কলন করেছে তা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৫.০% এবং ৭.৫% যথাক্রমে ২০২১ ও ২০২২ সালে ঘটতে পারে। এদিকে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক বিশ্ব অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদন ৪.০% হারে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৩.৬% হারে ২০২০-২১ অর্থবছরে ঘটবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৫.১% হারে বাড়বে। এদিকে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের মতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫.৫% থেকে ৬% হারে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭.২% হারে বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। আসলে সরকার যেভাবে লকডাউনের মধ্যে রফতানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে চেষ্টা করছে তা প্রশংসনীয়। আর তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গেলে আগামী অর্থবছরে ৭.২% হারে প্রবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। এজন্য ব্যাংকিং সেক্টরে উন্নয়ন দরকার। ব্যাংকিং সেক্টরকে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথ ধরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা দরকার। এজন্য ব্যাংকিং সেক্টরে ঙসনঁফংসধহ (ওমবাডসম্যান) বা লোকপদ হিসেবে সৃষ্টির ব্যবস্থা করা দরকার। এমন একজন নীতিবান ব্যক্তিত্ব হিসেবে ওমবাডসম্যান নিয়োগ করা দরকার যিনি ব্যাংকিং খাতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে ব্যবসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে সাধারণ আমজনতার দায়ের করা অভিযোগসমূহ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করবেন। ব্যাংকিং সেক্টরে যে দুর্নীতি, অসততা, দ্বন্দ্ব বা উদ্বেগ উত্থাপন করা হবে তা সমাধানের চেষ্টা, মধ্যস্থতা এবং দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়াস নেবেন। উদাহরণত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গবর্নর এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন স্যারের নাম ওমবাডসম্যান হিসেবে প্রস্তাব করা যায়। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় আরও উল্লেখ করেছেন যে, আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান গতি হলো আমাদের মানুষ। আর তাই এই ঘোষিত বাজেট জীবন ও জীবিকার পক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা মানুষকে কেন্দ্র করে। মানুষের মধ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করা উচিত। পুঁজিবাজারকে অবশ্যই এসএমই সেক্টরে অধিকহারে এগিয়ে আসার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে গ্রামীণ ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে পারে সরকারের উন্নয়ন কাঠামোয়। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রণোদনা, ক্ষতিপূরণ দেয়া, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কৃষি পুনর্বাসন, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী অর্থবছরে দশ লাখ লোক আইটি খাতে কর্মসংস্থান পেতে পারেন। একটি খাতের কথা না বললেই নয়। দেশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এমবিএ ডিগ্রীধারী তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থান করা দুরূহ। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নারী উদ্যোক্তাদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাবনা করা হয়েছে। সরকার অনেক ক্ষেত্রেই কর্পোরেট ট্যাক্স হ্রাস করার প্রস্তাবনা করেছে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাপ্য যে অর্থ রয়েছে সেগুলো অবশ্যই তাদের কোষাগারে জমা রাখা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। পাট ও পাটজাত দ্রব্যাদি, পোশাক শিল্প খাত, চামড়া, ওষুধ পণ্যসমূহে কাঁচামাল আমদানিতে আয়কর অব্যাহতি যৌক্তিককরণ করা হয়েছে। দেশে এখন বিদেশী ফল ও সবজি উৎপাদন হচ্ছে। এজন্য আমদানিকৃত ফল ও সবজিতে ৫% হারে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে বেকারদের প্রণোদনা এ করোনাকালীন দেয়ার ব্যবস্থা দরকার। কর্মসংস্থান নীতির ক্ষেত্রে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করা প্রয়োজন। প্রবাসীরা যাতে বৈদেশিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে তার জন্য বিদেশে নতুন বাজার খোঁজার দায়িত্ব বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহকেও নিতে হবে। আবার যারা বিদেশ থেকে ফেরত আসবেন তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংককে অবশ্যই তৃণমূল পর্যায়ে শিল্প-কলকারখানা তৈরির জন্য কর্মকাণ্ড তাদের বৈশিষ্ট্যে উল্লেখ করতে হবে। বাজেট বাস্তবায়ন যাতে ঠিকমতো হয় সেজন্য তদারকির প্রয়োজন রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বাজেটে বলা হয়েছে। এটি বর্তমান আবহে রাষ্ট্রযন্ত্রকে এগিয়ে চলতে সহায়তা করবে। রাজস্ব আহরণে অটোমেশন চালু করলেই হবে না, বরং যারা কর ফাঁকি দেয় তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নিতে হবে। দেশের দরিদ্র-হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কুটির শিল্প, ছোট শিল্পসহ যারা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করে থাকেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন ব্যাংকিং সেক্টরের মাধ্যমে হোক, সরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হোক কিংবা বেসরকারী খাতের মাধ্যমে হোক তা বাস্তবায়ন করা বাঞ্ছনীয়। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গেলে স্বকর্মসংস্থান কিংবা বেসরকারী ও সরকারী খাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। নতুন কর্মসংস্থানের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা দরকার। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে যারা দরিদ্র বা কর্মচ্যুত হয়ে পড়েছে তাদের অবশ্যই কর্মসংস্থানের আওতায় আনা দরকার। স্বাস্থ্য খাতে যেটুকু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটি দুর্নীতিমুক্তভাবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। ঘোষিত বাজেটটি গণমুখী, উন্নয়নমুখী ও জনবান্ধব- করোনার সময়ে সাধারণ মানুষের সহায়ক হবে। এজন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাজস্বনীতির পাশাপাশি মুদ্রানীতিকে কাজে লাগাতে হবে। পিছিয়ে পড়া মানুষকে মূল অর্থনৈতিক স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য বাজেটে ঘোষিত হয়েছে। শ্রমজীবী, কৃষিজীবী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে যারা দুর্নীতি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ও আইটি এক্সপার্ট [email protected]
×