ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে গাসিক কাউন্সিলর ৩ঘন্টা অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২ মে ২০২১

গাজীপুরে গাসিক কাউন্সিলর ৩ঘন্টা অবরুদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির জেরে পোশাক শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে দুই সঙ্গীসহ সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলর প্রায় তিন ঘন্টা কারখানায় অবরুদ্ধ ছিলেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুইটি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকার কেএসি পোশাক কারখানায় ঝুট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’পক্ষের মাঝে গত কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডল ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ খান এর নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন যুবক ওই কারখানায় যায়। তারা কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাঁধা দেয়। এতে দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। বহিরাগতরা কারখানায় হামলা চালিয়ে নিরাপত্তা কর্মীসহ শ্রমিক কর্মচারীদের মারধর করছে- এ খবর কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে বহিরাগতদের ধাওয়া করে। শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে বহিরাগতদের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোন্তাজ উদ্দিন মন্ডল ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ খান এবং এরশাদ প্রাণ বাঁচাতে কারখানার একটি কক্ষে লুকিয়ে আশ্রয় নেয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় শ্রমিকরা কারখানার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকে। শ্রমিকরা বহিরাগতদের দুইটি মোটর সাইকেলও ভাংচুর করে। শ্রমিক অসন্তোষের কারনে কাউন্সিলরসহ ওই তিনজন ওই কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিচারের আশ্বাস দিয়ে আধাঘন্টা পর সড়কের উপর থেকে অবরোধকারী শ্রমিকদের সরিয়ে আনে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে অবরুদ্ধ কাউন্সিলর ও তার লোকজনের আলোচনা শেষে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রায় ৩ ঘন্টা পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাউন্সিলরসা ওই তিনজন কারখানা ত্যাগ করেন। সমঝোতা চুক্তিতে বিষয়টিকে ভুলবুঝাবুঝি বলে উল্লেখ করা হয়। জিএমপি’র কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুলবুঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজিত শ্রমিকদের হাত থেকে রক্ষা করতে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তার দুই সঙ্গীকে কারখানার ভিতরে একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখা হয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
×