ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়াঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পাশে দাঁড়াবে সরকার ॥ সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ৭ এপ্রিল ২০২১

হাওড়াঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পাশে দাঁড়াবে সরকার ॥ সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এ সরকার অতীতের সব দুর্যোগে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারও দাঁড়াবে। হাওড়াঞ্চলে আকষ্মিক হিট শকে যাদের বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেÑ তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। ধৈর্য্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীসহ সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শীঘ্র ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। হিট শকে ক্ষতিগ্রস্ত নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চল পরিদর্শন শেষে আজ বুধবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় খসরু আরও বলেন, এক রাতের তপ্ত হাওয়ায় এত বড় ক্ষতি হতে পারেÑ তা নিজ চোখে না দেখলে অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। হাওড়ের চাষীরা এ ধরনের দুর্যোগ আগে কখনও দেখেনি। কাজেই বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের গবেষণার প্রয়োজন আছে। প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত জেলার মদন উপজেলার চানগাঁও, বালই, উচিতপুর, মাঘান, গোবিন্দশ্রী এবং খালিয়াজুরী উপজেলার বোয়ালী, কুড়েরপাড়, জগন্নাথপুর, ও রসুলপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়গুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান, খালিয়াজুরী উপজেলার ইউএনও এএইচএম আরিফুল ইসলাম, মদন উপজেলার ইউএনও বুলবুল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এ্যাডভোকেট দীপক ধরগুপ্ত, আতাউর রহমান মানিক ও নজরুল ইসলাম ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নেত্রকোনার খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়া, বারহাট্টা ও দুর্গাপুর উপজেলার হাওড়াঞ্চলের ওপর দিয়ে এক ধরনের তপ্ত হাওয়া বয়ে যায়। এতে কৃষিবিভাগের হিসেবে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর বোরো জমি হিট শকে আক্রান্ত হয়। এসব জমির বেশিরভাগ ধানগাছ মরে যায়। কচি ধান চিটায় পরিণত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, হিট শকের কারণে জেলার ছয় উপজেলার অন্তত ৩৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর ফলে জেলায় প্রায় ৮৬ হাজার ৫শ ২০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন কম হবেÑ যার বিরূপ প্রভাব পড়বে মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার ওপর। মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে আনুমানিক ২শ ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
×