ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে টিম গঠনের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১ মার্চ ২০২১

অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনতে টিম গঠনের নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উপকূলীয় ও সিলেট এলাকায় এখনও যেসব জমি অনাবাদি রয়েছে তা চিহ্নিত করে কিভাবে চাষের আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে দ্রুত টিম গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আবদুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শাকসবজি, আলু, ভুট্টা, গমসহ ফলমূলের উৎপাদনও অনেক বেড়েছে। কিন্তু মানুষ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বলতে চালকেই বোঝে। সেজন্য চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, সিলেট ও উপকূলীয় এলাকায় এখনও অনেক অনাবাদি পতিত জমি আছে। সিলেট অঞ্চলে কত জমি অনাবাদি আছে, তার কতটুকু চাষের আওতায় আনা যায়, তা স্টাডি করে দেখতে হবে। সেখানে সেচের পানির অভাব রয়েছে। তবে ভূ-উপরিস্থ পানির জন্য কয়েকটা নদী রয়েছে। পাম্প ব্যবহার করে নদীর পানি কিভাবে সেচের জন্য কাজে লাগানো যায় তা স্টাডি করে বের করতে হবে, যাতে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। মন্ত্রী এ সময় সিলেট এলাকার অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য দ্রুত টিম গঠন করার নির্দেশ দেন। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু মন্ত্রণালয়ে বসে রুটিন কাজকর্ম করলে চলবে না। মাঠপর্যায়ের কাজে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সবসময় সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। মাঠের অবস্থা, উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। উৎপাদন বাজারে কী প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। প্রকল্পের কাজে তঁদের সম্পৃক্ত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীলের ক্ষেত্রে শুধু উৎপাদনের পরিসংখ্যান দেখলে হবে না। এর সঙ্গে দেশে চালের চাহিদার দিকটিও বিবেচনায় নিতে হবে। দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে, করোনাকালে অনেক প্রবাসী ফিরে এসেছেন; তাছাড়া চাল প্রাণী খাদ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে।
×