ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাটে প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা আসছে

প্রকাশিত: ১৩:২১, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

বাগেরহাটে প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা আসছে

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার ডোজ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকা আসছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে এ টিকা বাগেরহাটে পৌঁছাবে। এই ধাপে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮০০ ভায়াল (বোতল) অর্থ্যাৎ ৪৮ হাজার ডোজ টিকা পাঠাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা দিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। টিকা সংরক্ষণ ও দেওয়ার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, প্রথম ধাপে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮০০ ভায়াল টিকা পাঠানো হবে। এই টিকা জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে সরবরাহ করা হবে। টিকা সংরক্ষণের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের এই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের সাড়ে ৭ লাখ ডোজ টিকা রাখার সক্ষমতা রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ধাপে সরকারী-বেসরকারী স্বাস্থ্যকর্মী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য, পয়নিস্কাশনকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের করোনা টিকা দেওয়ার হবে। বাগেরহাট জেলা এই ধরনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো ছক অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তালিকা তৈরি শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৮টি, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১টি, ৮টি উপজেলায় ২টি করে, ৭৫টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১০২টি টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে টিকাদানে অভিজ্ঞ ২ জন স্বাস্থ্য কর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এছাড়া টিকা নেওয়ার পরে তাৎক্ষণিক কোনো সমস্যা হলে সমাধানের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডভান্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমুউনাইজেশন ম্যানেজমেন্ট (এইএফআই) টিম গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির লোকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ধাপের টিকাগুলো হাসপাতালে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক জানান, ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সমন্বয় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করতে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য দায়িত্বশীল সেচ্ছাসেবী টীম গঠন করা হচ্ছে। তিনি গণমাধ্যম-সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিত্বশীল মানুষের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন। টিকার বণ্টন সুষ্ঠুভাবে করতে ইতোমধ্যে ‘সুরক্ষা’ নামে দেশব্যপিী একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু হয়েছে। সুরক্ষায় ‘সেলফ রেজিস্ট্রেশন’র মাধ্যমে এতে অনলাইনে নিবন্ধন ও ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোডের ব্যবস্থা রয়েছে। সুরক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করতে সুরক্ষার ওয়েবসাইট গিয়ে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে নাগরিক শ্রেণী সিলেক্ট করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্মতারিখ দিতে হবে। এরপর যাচাই বাটনে ক্লিক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। পরিচয় যথাযথ হলে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম ফর্মে দেখা যাবে। দীর্ঘমেয়াদী কোন রোগ আছে কিনা হ্যাঁ অথবা না সিলেক্ট করতে হবে। নিবন্ধনকারী নাগরিকের পেশা এবং সরাসরি কোভিড-১৯ কাজের সঙ্গে জড়িত কিনা তা নির্বাচন করতে হবে। মোবাইলে ভ্যাকসিনের তথ্য ও ভেরিফিকেশন এসএমএস পেতে চান তা নিবন্ধনের সময় দিতে হবে। ফর্মে বর্তমান ঠিকানা ও টিকা কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। সব শেষে মোবাইলে প্রাপ্ত এসএমএস দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘টিকা কার্ডসংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে নির্ধারিত সময়ে এমএমএসের মাধ্যমে টিকা দেয়ার তারিখ ও কেন্দ্র জানানো হবে। টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রিন্টেড টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সঙ্গে নিতে হবে।
×