ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৬০ সংগঠনের মানববন্ধন

হেফাজতের বাবুনগরী মামুনুলদের গ্রেফতার দাবি

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ২ ডিসেম্বর ২০২০

হেফাজতের বাবুনগরী মামুনুলদের গ্রেফতার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতের মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। বলেছেন, আজকে যারা নতুন করে বাংলাদেশের অস্তিত্বে হুমকি দিচ্ছে, যারা মসজিদের ভেতরে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, তাদের যথাযোগ্য শাস্তি নিশ্চিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। আর ’৭১-এর পরাজিত শত্রুরাই দেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য কোন অবস্থাতেই সফল হতে দেয়া যাবে না। এজন্য মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে আয়োজিত সংক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে যোগ দিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ৬০টি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত কর্মসূচী থেকে সাত দফা দাবির ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ধর্মীয়, জাতিগত, শিশু, কিশোর, ছাত্র, যুব, নারী এবং রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের পরিবারের সংগঠনগুলো ঘোষণাপত্রে দুটি মূল দাবি জানায়। সেগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে জাতির পিতা ও সংবিধান অবমাননাকারী মামুনুল-বাবুনগরী গংকে গ্রেফতার ও বাংলাদেশে জামায়াত-হেফাজতের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, ওয়াজ-মাহফিল ও খুতবার নামে ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচারকারী ও হুমকিদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্তি, এক ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষানীতি, নারীনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবিধান ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বিষোদ্গারকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান অবমাননার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী এবং যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের গ্রেফতারের দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে মানববন্ধনে হাজার-হাজার মানুষ অংশ নেয়। দুপুর থেকে দলে দলে লোকজন জড়ো হতে থাকেন উদ্যানের চারপাশজুড়ে। মৎস্য ভবন থেকে শুরু করে এই মানববন্ধন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, শাহবাগ ও টিএসসি হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরের পুরো এলাকা ছড়িয়ে যায়। একই দাবিতে সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও এ কর্মসূচী পালন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক আবেদ খান, অধ্যাপক ও গবেষক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা কাজল দেবনাথ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ডাঃ কামরুল হাসান, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে হোসেন বাদশাসহ আরও অনেকে কর্মসূচীতে যোগ দেন। সম্প্রতি রাজধানীর দোলাইরপাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে সে কাজ অবিলম্বে বন্ধের দাবি তোলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। আর গত ২৭ নবেম্বর চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, যে কোন দল ভাস্কর্য বসালে তা টেনে-হিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে। এর আগে তিনি বলেন, মসজিদের নগরীতে কোন মূর্তি বা ভাস্কর্য রাখা যাবে না। এর ঘটনার পর থেকে দেশজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিভিন্ন প্রগতিশীল, সামাজিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন থেকে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যদাতাদের গ্রেফতারের দাবি ওঠে। বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে- মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী ॥ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বক্তব্য (ভাস্কর্যবিরোধী) প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে বাংলার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ জবাব দেবে। পরিণাম ভাল হবে না। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য দেয়ার পরেও এখনও তাদের নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এটাই আপনাদের সৌভাগ্য। দৃষ্টান্তমূলক পরিণামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভাস্কর্য বিরোধিতাকারীদের হুঁশিয়ার করে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে অসংখ্য ভাস্কর্য আছে। কোনটি নিয়ে কোন কথা নেই। হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য কেন? আসলে মতলব কী? বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। ধৃষ্টতা দেখাবেন না। না হলে কঠিন পরিণতি বরণ করতে হবে। তারা দেশকে মোল্লা উমরের আফগানিস্তান বানাতে চায় - শাহরিয়ার কবির ॥ সমাবেশ পরিচালনাকালে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘জামায়াত সমর্থিত হেফাজত-খেলাফতের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক নেতারা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, সেগুলো সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চরম অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার হুমকি দেন, তারা দেশকে মোল্লা উমরের আফগানিস্তান বানাতে চান। তারা জিয়াউল হকের পাকিস্তান বানাতে চান। আমরা তাদের এসব বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মৌলবাদীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ভাস্কর্যের সঙ্গে ধর্মের কোন বিরোধ নেই- কুদ্দুছ ॥ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আমরা মনে করি, ভাস্কর্যের সঙ্গে ধর্মের কোন বিরোধ নেই। কাজেই যারা বাংলাদেশে ভাস্কর্যের সঙ্গে ধর্মের সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করছে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সবচাইতে এলার্মিং ঘটনা-বাচ্চু ॥ বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, সম্প্রতি যে ঘটনাটি ঘটছে বাংলাদেশে সবচাইতে এলার্মিং ঘটনা সেটি হচ্ছে, জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলে নদীতে ছুড়ে ফেলার মতো ধৃষ্টতা তারা দেখিয়েছে। তারা কোন অবস্থাতেই ভাস্কর্য করতে দেবে না বলেছে। কারা বলছে? তারা কারা? তারা হচ্ছে একাত্তরের পরাজিত সৈনিক, একাত্তরের পরাজিত শত্রু, তাদেরই উত্তরসূরি, একেবারেই তাদের প্রতীকী রূপ। বাংলাদেশ কখনও তালেবানি রাষ্ট্র হতে পারে না- হারুন হাবীব ॥ মৌলবাদের আস্ফালন রুখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শক্তিকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। তিনি বলেন, তারা এত বছর ধরে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এসেছে। এটা স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, তারা বাংলাদেশকে একটা তালেবানী রাষ্ট্র করতে চায়। যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে, সেই বাংলাদেশ কখনও পাকিস্তানী, আফগানিস্তানী বা তালেবানী রাষ্ট্র হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর এই ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে একত্রিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এবার আর কোন কম্প্রোমাইজ নয়- পরশ ॥ সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তির প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেছেন, এবার যখন আমরা ধরব, ফাইনাল হয়ে যাবে। এবার আর কোন কম্প্রোমাইজ (আপোস) নয়। বাংলাদেশে একটা কুচক্রী মহল সৃষ্টি করে ফায়দা লোটা, এটা বারবার হবে না। পরশ বলেন, কোথা থেকে টাকা আসছে, কী তাদের (মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি) এজেন্ডা এসব ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্ত হওয়া উচিত। প্রশাসনের তদন্তের মাধ্যমে আসল ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং এই দেশের মাটিতেই তাদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের একেবারে নির্মূল করে দিতে হবে। তারা যেন বারবার আমাদের স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে। তারাই বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে যাবে- তাপস ॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, মৌলবাদীরা মনে করেছেন, করোনার কারণে আমরা মনে হয় হারিয়ে গেছি। কিন্তু মনে রাখা দরকার, আমরা হারিয়ে যাইনি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিতে চান, তারাই বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে যাবেন।’ মেয়র বলেন, সারা বিশ্বে সব দেশেই তাদের জাতির পিতার ভাস্কর্য আছে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন কেউ ঠেকাতে পারবে না। অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপিত হবেই, হবে। কেউ বাধা দিতে এলে আমরা বসে থাকব না। আমরা নীরব থাকতে পারি, কিন্তু হারিয়ে যাইনি। উদ্বিগ্ন শান্তিপ্রিয় নাগরিকরা- রানা দাশগুপ্ত ॥ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠার বিরোধিতার নামে সাম্প্রদায়িক মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির যে চেষ্টাটি করছে, এটি শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বাংলাদেশ কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আজকে যে অন্ধ মৌলবাদী শক্তি ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে, তাদের পুলিশী ব্যবস্থায় শাস্তি দিলেই হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সচেতন করে তুলতে হবে যেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলো অক্ষয় থাকে। মানববন্ধন ও সমাবেশের মূল দাবি হচ্ছে- অবিলম্বে জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের সংবিধান অবমাননাকারী মামুনুল-বাবুনগরী গংকে গ্রেফতার করতে হবে এবং বাংলাদেশে জামায়াত-হেফাজতের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সংগঠনসমূহের মধ্যে রয়েছে, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এসোসিয়েশন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, প্রজন্ম ’৭১, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ, ইতিহাস সম্মিলনী, জাতীয় কবিতা পরিষদ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), জাতীয় যুব জোট, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ কেন্দ্র, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ, ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রবর্তন জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ), বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরাম, গৌরব ’৭১, অপরাজেয় বাংলা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার, কর্মজীবী নারী, জাতীয় নারী জোট, নারী মুক্তি সংসদ, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ (বাংলাদেশ চাপ্টার), জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা, সেকুলার ইউনিটি বাংলাদেশ, ইউথ ফর ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঘাসফুল শিশু কিশোর সংগঠন, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ।
×