ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক থিম সং রাইটিং প্রতিযোগিতায় জয়ী দেশের দুই শিল্পী

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ১৮ অক্টোবর ২০২০

আন্তর্জাতিক থিম সং রাইটিং প্রতিযোগিতায় জয়ী দেশের দুই শিল্পী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকালার সোসাইটি। মূলত জলরংয়ে কাজ করা চারুকলানির্ভর নিয়ে নানা অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সংগঠনটি। তবে এই প্রথমবারের মতো সঙ্গীত নিয়ে কাজ করল সংগঠন। সেই সুবাদে থিম সং রাইটিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আর ১০০ দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের দুই শিল্পী। তারা হলেন জাহিদ বাশার পংকজ ও পল্লবী মজুমদার। গান গাওয়ার পাশাপাশি একইসঙ্গে সুর দেয়া ও সঙ্গীত পরিচালনার দক্ষতায় প্রতিযোগিতায় দশম হয়েছেন জাহিদ বাশার পংকজ। অনদিকে একই ধরনের কৃতিত্ব দেখিয়ে তৃতীয় ও অষ্টম স্থান অর্জন করেন পল্লবী মজুমদার। কানাডা প্রবাসী একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও কানাডার প্রতিনিধিনিত্বের মাধ্যমে অর্জন করেছেন দুটি পুরস্কার। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকালার সোসাইটি বাংলাদেশ (আইডব্লিউএসবি)। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন থিম সং রাইটিং প্রতিযোগিতার বিজয়ী জাহিদ বাশার পংকজ এবং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী দুই বিচারকের একজন কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সানী জুবায়ের। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকালার সোসাইটি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড কাওসার রহমান কাওসার হোসেন এবং ইভেন্টস কোঅর্ডিনেটর ঝুমি রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পিস থ্রু আর্ট প্রতিপাদ্যে এই প্রথমবারের মতো সঙ্গীতনির্ভর থিম সং রাইটিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকালার সোসাইটি। এতে কম্পোজিশনের দক্ষতার জন্য ৫০ নম্বর, লিরিকের জন্য ৩০ নম্বর, গাওয়ার স্টাইলের জন্য ১০ নম্বর এবং গানটির প্রভাবের ওপর ১০ নম্বর ধরা হয়। আর এমন কয়েকটি ধাপ পেরুনো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন দুই শিল্পী জাহিদ বাশার পংকজ ও পল্লবী মজুমদার। তাদের কল্যাণে বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের নামটি। গত আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে অনলাইনে এই প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতার ফলাফল নির্ধারণ ৩৩ দেশের বিচারকবৃন্দ। তাদের মধ্যে ছিলেন দুই বাংলাদেশী বিচারক সানী জুবায়ের ও আবিদ আনোয়ার। তবে প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী তারা দেশের প্রতিনিধিদের পক্ষে ভোট দিতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিজয়ীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে জাহিদ বাশার পংকজ বলেন, এই প্রাপ্তি আমার জন্য বিশেষ গুরুত্ববহ। কারণ এখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আমি জয়ী হয়েছি। নতুন বাণীতে গান কম্পোজ করা, গাওয়াসহ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে তবেই এসেছে কাক্সিক্ষত সাফল্য। কম্পোজার ও মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দিয়েছে এই পুরস্কার। সানী জুবায়ের বলেন, দেশের প্রতিভাবান শিল্পীদের উঠে আসার বড় একটি প্ল্যাটফর্ম এই প্রতিযোগিতা। আর এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের গ-ি পেরিয়ে বৈশ্বিকভাবে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ রয়েছে শিল্পীদের। ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়েও এই প্রতিযোগিতার আয়োজনের আকাক্সক্ষা রয়েছে আয়োজকদের।
×