ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বৃদ্ধার চুল কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

বৃদ্ধার চুল কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরহাট থানার আন্দারমানিক গ্রামের এক বিধবা বৃদ্ধার চুল কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফেরার পর হামলাকারীরা ওই বৃদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের এ নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচার আঁকুতি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নির্যাতিত বৃদ্ধা সফুরা বেগম (৬৫) ও তার পরিবারের সদস্যরা। আজ শনিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নির্যাতিতার মেয়ে সোনিয়া বেগম জানান, একই এলাকার সেকান্দার আলী হাওলাদারের কাছ থেকে ২০০৬ সালে ৪০ হাজার টাকায় ১৮ শতক জমি ক্রয় করে তারা সেখানে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। সস্প্রতি সেকান্দার ওই জমি বাবদ আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এনিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে প্রতিপক্ষের লোকজনে তার বাবা আব্দুল মান্নান সরদারকে কৌশলে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার (সোনিয়া) মা সফুরা বেগম অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সত্বেও প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে পরবর্তীতে মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। সোনিয়া আরও জানান, পূর্ব বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষ সেকান্দার আলী হাওলাদার তার সহযোগি সহিদ হাওলাদার, তৌহিদ ইসলাম, ফারুক হোসেন, যুবরাজ, মোতালেব হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম, প্রিন্স হাওলাদারসহ অন্যান্যরা চলতি বছরের ১৫ জুলাই তার বৃদ্ধা মা সফুরা বেগমের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তার (সফুরা) মাথার চুল কেটে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কাজীরহাট থানায় উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ প্রথমে চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ দেন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে কয়েকদিন পূর্বে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যায় তার মা সফুরা বেগম। সোনিয়া বেগম অভিযোগ করেন, অপর একটি মামলায় কারাগার থেকে সদ্যজামিনে বের হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনে পুর্নরায় তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
×