ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্পেনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ॥ আরাঞ্চা

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ২৮ জুলাই ২০২০

স্পেনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ॥ আরাঞ্চা

স্পেনে এক মাস আগে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। এরপর সম্প্রতি দুই সপ্তাহে দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ তিনগুণ বেড়েছে। এই অবস্থার মধ্যে ভ্রমণকারীদের জন্য ‘স্পেন নিরাপদ’ এবং নতুন করে যে সংক্রমণ ঘটেছে তাও ‘কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে বলে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঞ্চা গঞ্জালেস লায়া দাবি করেছেন। স্পেনে সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ অনেক বেড়ে গেছে। এর মধ্যে স্পেনীয়দের জন্য যুক্তরাজ্যের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম চালুর মুখে স্পেন নিজেদের নিরাপদ দেশ বলে দাবি করেছে। ব্রিটিশ সরকার কোয়ারেন্টাইনের নতুন ওই নির্দেশনা জারির পর এই ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। গত শুক্রবার ৯শ’রও বেশি মানুষ শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে স্পেন আরেক দফায় করোনাভাইরাসের ঢেউয়ের মুখে আছে বলে সরকার সতর্ক করেছে। এ পরিস্থিতিতে শনিবার যুক্তরাজ্য তাদের নিরাপদ দেশের তালিকা থেকে স্পেনকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দেয়। রবিবার থেকে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম কার্যকরও করা হয়। যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তের কারণে অনেকের ভ্রমণ পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। যারা এরই মধ্যে স্পেন ভ্রমণে চলে গেছেন তারাও ফেরা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন। কারণ, যাত্রী না পাওয়া এয়ারলাইন্সের সূচীতেও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। নানা হলিডে কোম্পানি তাদের পূর্ব নির্ধারিত ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিল করছে। তবে মাদ্রিদ সরকার পর্যটকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলছে, স্পেন নিরাপদ। স্পেন তাদের ব্যালিয়ারিক ও ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জকে কোয়ারেন্টাইনের আওতার বাইরে রাখতে যুক্তরাজ্য সরকারকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঞ্চা গঞ্জালেস লায়া। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ব্যালিয়ারিক ও ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে করোনাভাইরাস বিস্তারের হার যুক্তরাজ্যের থেকেও অনেক কম। ‘স্পেন নিরাপদ, স্পেনের বাসিন্দাদের জন্য এটি নিরাপদ, পর্যটকদের জন্যও এটি নিরাপদ। গত বছর স্পেন ভ্রমণে যাওয়া প্রতি পাঁচজন পর্যটকের একজনের বেশি যুক্তরাজ্য থেকে গিয়েছিলেন। যা দেশটির পর্যটন খাতে মোট আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইউরোপে করোনাভাইরাস মহামারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ যুক্তরাজ্য। স্পেনেও সংক্রমণ এবং মৃত্যু অনেক বেশি ছিল। ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দুই দেশই দীর্ঘদিন লকডাউনে ছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হলে লকডাউন তুলে নেয়া হয়। দীর্ঘ লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে স্পেনের পর্যটন খাত মাত্র ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু দেশটিতে আবার নতুন করে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় স্পেনের বেশিরভাগ অঞ্চলে ফের সব জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বার্সেলোনাসহ আরও কিছু অঞ্চলে জনগণকে আবারও ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ দফায় মূলত কাতালোনিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলে সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে। -রয়টার্স।
×