অনুশীলনে ব্রড-ওকস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ যেন মহামারী করোনাভাইরাসকে চোখ রাঙিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের জেগে ওঠার ঘোষণা। সবার আগে অনুশীলনে ফিরলেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। ঘোষণাটা ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আগেই দিয়েছিল, পরশু সেটার বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। তবে পুরো দল নয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই তারকা পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস অনুশীলনে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। ইসিবি আগেই জানিয়েছিল, ধাপে ধাপে ব্যবিক্তগত এই অনুশীলনের শুরুটা হবে পেসারদের দিয়ে। করোনা ঝেড়ে ফেলতে ব্রড গিয়েছিলেন ট্রেন্টব্রিজে আর ওকস বার্মিহামের এজবাস্টন স্টেডিয়ামে। এ সপ্তাহের শেষদিকে অনুশীলনে ফিরবেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। আগামী মাসে মাঠে নামতে চায় শ্রীলঙ্কাও। তবে ব্রড ও ওকসকে মাঠে ফিরিয়ে বিশ্বজুড়ে অগণিত ক্রিকেটপ্রেমীর মনে আলো রোশনাই ছড়িয়ে দিলো কুলিন ইংলিশরা। কঠোর নিয়মের মধ্য দিয়ে সবুজ গালিচায় ফেরা ইংল্যান্ডের এ অভিনব অনুশীলন পরিকল্পনার আওতায় নেয়া হয়েছে ১৮ পেসারকে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ৭টি ভিন্ন স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন করানো হবে। বোলারদের অনুশীলন ঠিকঠাক চললে দুই সপ্তাহ পর আনা হবে ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষদের যেহেতু সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার রাখা হয়নি, তাই খেলোয়াড়দের নিজেদের করা ভিডিওই ছিল একমাত্র ভরসা। সে কাজটি বেশ ভালভাবেই করেছেন ব্রড ও ওকস। ট্রেন্টব্রিজের সেন্টার উইকেটে তার বোলিংয়ের ছোট্ট একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সবার সঙ্গে। অনুশীলন শুরুর আগে একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে নিজের দেহের তাপমাত্রা মেপেই ঘর থেকে বের হয়েছিলেন ব্রড। সেই ছবিও তিনি শেয়ার করেছিলেন ভক্তদের সঙ্গে। এরপর নিজের ট্রেনিং কিট ভালভাবে স্যানিটাইজ করে মাঠের উদ্দেশ্যে বের হন ব্রড। মাঠেও তার জন্য ছিল নির্দিষ্ট পার্কিং স্পেস। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যই থাকবে এমন। করোনার ঝুঁকি এড়াতে ইসিবির পক্ষ থেকে প্রত্যেক পেসারকে দেয়া হয়েছে ব্যক্তিগত বল। নিজের সেটের বল দিয়েই এদিন সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছেন ব্রড। যেখানে ছিল না কোন ব্যাটসম্যান কিংবা উইকেটরক্ষক। তবে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট তার দেখভাল করার জন্য উপস্থিত ছিলেন। নিজের বোলিংয়ের ভিডিও শেয়ার করে ব্রড লিখেছেন, ‘এ জিনিসটা (মাঠে অনুশীলন) বাস্তবে রূপ দিতে যে আরও কত কিছু করতে হয়েছে, তা আড়ালেই চলে গেছে। ইসিবি এবং ট্রেন্টব্রিজ মাঠের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি সত্যিই এটাকে সাধুবাদ জানাই। আবার মাঠে ফিরে বোলিং করতে পারার অনুভূতি অতুলনীয়।’ করোনাকালে ইংলিশ খেলোয়াড়দের ইতিহাসগড়া এ অনুশীলনে কলোর সব নিয়ম-কানুনের গাইডলাইন তৈরি করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। অনুশীলনে ক্রিকেটারদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।