ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে ’শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে ’শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৩৪) নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি ও ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের মাঠের মধ্যে তোফাজ্জেল হোসেনের পান বরজের পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী জামালপুর গ্রামের মানিক আলীর ছেলে। শহিদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৪টি মামলা রয়েছে। তবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত শহিদের স্ত্রী তানিয়া খাতুন দাবি করেছেন, তার স্বামী শহিদ, শ^শুর মানিক আলী ও দেবর লালনকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জামালপুর গ্রামের একটি দোকান থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। এসময় ডিবি পুলিশের সাথে একই এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে রোকন ছিল। সে শহিদকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছে। পরে রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ দেখিয়ে তার স্বামী শহিদকে হত্যা করা হয়। স্বামীকে হত্যা করা হলেও শশুর ও দেবরকে এখনও (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) ছাড়া হয়নি। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান জানান, দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানিক দল বাগোয়ান গ্রামের মাঠের মধ্যে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শহিদকে উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি ও ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। পরে নিহত শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শহিদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৪টি মামলা রয়েছে বলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান জানিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার জের ধরে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত শহিদ পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী একই এলাকার আলতাব হোসেনের পরিবারের ওপর চড়াও হলে আলতাব হোসেনের ছেলে জজ এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে পর পর ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলতাব হোসেনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। তবে গুলির বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে জামালপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রন করে।
×