ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপির আয় বাড়াতে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে ॥ তাজুল

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

ইউপির আয় বাড়াতে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে ॥ তাজুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সক্ষমতা বাড়াতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদকে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে কাজ করার জন্য চেয়ারম্যানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। একইসঙ্গে গ্রাম আদালতকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্যতম স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ মনযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন গাজীর (বিল্লাল) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ্, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর কাছে চেয়ারম্যান সমিতি ১২ দফা দাবি তুলে ধরলে মন্ত্রী বেশকিছু দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন এছাড়া কিছু দাবি ভেবে দেখা হবে বলেও জানান। মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের আয় বাড়াতে সকল কর্মকা-ে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদকে সক্ষম না করতে পারলে উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়। ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে সরকার বেশ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কিভাবে আরও বেশি কাজে লাগানো যায়, কিভাবে তাদের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে ভাবছি। কারণ বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। যার মূল লক্ষ্য আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। যার কাজ ইতোমধ্যেই চলছে। এরই অংশ হিসেবে ইউনিয়নের তথা প্রতিটি গ্রামের মানুষের সার্বিক উন্নতির চিন্তা করতে হচ্ছে। তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ তাদের সমস্যা সমাধানকল্পে নতুন নতুন সৃষ্টিশীল উদ্যোগ নেবে। তাদের অর্থেও সমস্যা রয়েছে তবে কিভাবে কোন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা যায় তার সম্পর্কে আমাদের কাছে ধারণা দিয়ে প্রস্তাব পেশ করলে সরকার তা যাচাই বাছাইপূর্বক বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে। এ জন্য প্রয়োজনে আমরা অর্থ প্রদান করব বা বৈদেশিক ফান্ড লাগলে তাও ব্যবস্থা করা হবে। এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, সরকারের একক অর্থে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক উন্নতি কোনক্রমেই সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে সম্পৃক্ত করে তাদের দ্বারা আয়ের পথ সৃষ্টি করে রাজস্ব তৈরির পথ খুলতে হবে। ফলে এ অর্থে ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকার উভয়েই লাভবান হবে ও টেকসই উন্নয়ন তথা উন্নত দেশের লক্ষ্য অর্জিত হবে। মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ইনোভেটিভ চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী দিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদে শিক্ষিত ও সম্মানিত লোকদের নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষিত জনপ্রতিনিধি হলে তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ এবং মানুষের সমস্যাগুলোকে সমাধান করবেন। এক সময় সম্মানী লোকজন মেম্বার চেয়ারম্যান হতেন বর্তমানে উচ্ছিষ্ট বা দুষ্টু লোকজন এ পদে বেশি এগিয়ে আসে। ফলে ভাল লোকজন সরে যাচ্ছে তাই সমাজের সম্মানিত লোকদের নির্বাচিত করতে হবে।
×