ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

ডিজিটাল উদ্যোগেও বাংলাদেশের পেছনে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

 ডিজিটাল উদ্যোগেও বাংলাদেশের পেছনে পাকিস্তান

অন্যরা কিভাবে দেখবেন সেটি আমি জানি না তবে পাকিস্তান যে সবার শেষে লাইনে দাঁড়াবে সেটি কখনও কাউকে কল্পনা বা আশঙ্কা করতে হয়নি। চরম সাম্প্রদায়িক, সামরিক স্বৈরাচারে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বৈশিষ্ট্যই এমন যে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ধর্মান্ধতা ছাড়া বাকি সকল বিষয়েই পাকিস্তান তালিকার শেষ দেশটি। আমাদের ওপর ঔপনিবেশিক শাসন কায়েমকারী ২৩ বছর শাসন, শোষণ করা ও ’৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভকারী দেশটি সামরিক শাসন, একনায়কত্ব, মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের কবলে এমনভাবে ধর্ষিত হয়েছে যে, দেশটিকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্র না বলে সত্য বলার উপায়ও নেই। অর্থনৈতিক সূচক তো বটেই সামাজিকভাবে পাকিস্তান এখন ধ্বংস হবার দ্বারপ্রান্তে। এমনকি কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে আরও একটি একাত্তর পাকিস্তানের জন্য অপেক্ষা করছে। এরই মাঝে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মানুষ নিজেদের সিন্ধুদেশের অধিবাসী বলে গণ্য করতে শুরু করেছে এবং একটি স্বাধীনতাকামী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ১১ বছর পরে ডিজিটাইজেশনের কথা বলবে পাকিস্তান তাতে অবাক হবার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। কাশ্মীর বা আফগানিস্তানে জঙ্গী রফতানি করা যতটা সহজ পাকিস্তানের জন্য ডিজিটাল কর্মসূচী গ্রহণ করা ততটা সহজ নয়। বাস্তবে সেটাই ঘটল। তবুও ডিজিটাল পাকিস্তানকে স্বাগত জানাই। তবে বলতে হচ্ছে, পাকিস্তান নামক একটি গ-ারের অবশেষে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙল বা এতক্ষণে অরিন্দম কহিল বিষাদে। তাতেই অন্তত পাকিস্তানীদের প্রশান্তি। তবে পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে ডিজিটাইজেশন শিখতে হবে। পাকিস্তানের ডন পত্রিকাসহ সকল গণ মাধ্যমের ৬ ডিসেম্বরের শীর্ষ শিরোনাম ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডিজিটাল পাকিস্তান কর্মসূচী ঘোষণা। সেই সূত্র ধরে বাংলাদেশের মিডিয়াও বসে নেই। আমি টেকশহর নামক একটি বাংলাদেশী অনলাইন গণমাধ্যমের খবর এখানে উদ্ধৃত করছি। এটি এক ধরনের আলসেমি। খবরটার ইংরেজী সংস্করণ করাচীর ডন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। আমি ওখান থেকে না নিয়ে কষ্ট করে বাংলায় উপস্থাপন করা টেকশহরের খবরটি উদ্ধৃত করছি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করছে বংলাদেশ। দেশে-বিদেশে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা যখন মুখে মুখে ঠিক সেই সময় এসে পাকিস্তান তাদের ডিজিটাল হবার কথা ঘোষণা করল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশটিতে ডিজিটাল পাকিস্তান ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দিয়েছে। ইমরান খান ডিজিটাল পাকিস্তান বাস্তবায়ন করে দেশটির জনগণকে প্রযুক্তি নির্ভর সেবা দেবার কথা জানিয়েছেন। পাকিস্তান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ঘোষণার অন্তত এক যুগ আগে বাংলাদেশ ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সসরকার যখন তার প্রায় সব ধরনের সেবা দেশের জনগণের জন্য হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে তখন পাকিস্তান সবে শুরু করতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন ইসলামাবাদে ক্যাম্পেইনটির উদ্বোধন করেন ইমরান খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য এখন ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাদের অগ্রগতির জন্য হলেও আমাদের এখন সে পথে হাঁটতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব ইতোমধ্যে অনেক এগিয়ে গেছে। সেদিক দিয়ে দেখলে পাকিস্তান এখনো পিছিয়ে। ইমরান খান বলেন, যে বিষয়গুলোতে সরকার এখন নজর দেবে এর মধ্যে প্রধান হবে ডিজিটাল পাকিস্তান। এটি তরুণদের অপরিহার্য। পাকিস্তান তরুণ জনগোষ্ঠীর দিক দিয়ে দ্বিতীয় প্রধান দেশ। তাই তরুণদের কাজে লাগাতে হবে ডিজিটাল কাজে। নারীরাও এই খাতে অনেক কাজের সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি। দেশটির সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ই-কমার্স এবং ই-গভর্ন্যান্স যে কোন প্রতিষ্ঠানের চেহারাই বদলে দিতে পারে। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমি ডিজিটালাইজেশনের পথে এগোতে অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু তারপরও আমাদের একসঙ্গে কাজ করে দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে ইমরান খান কাউকে ভয় পেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর তার সেই কথাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে প্যানিক তৈরি করেছিল বলে জানান তিনি। সে কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, আমরা আসলেই ঘাবড়িয়ে যাইনি। আমরা সঠিক পথেই আছি। অনুষ্ঠানে দেশটির তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আগামী তিন মাসের মধ্যে ডিজিটাল পাকিস্তানের রূপরেখা সবার সামনে তুলে ধরবেন বলে জানান। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের ১১ বছর পরে ঘোষিত কর্মসূচীর রূপরেখা প্রণয়নে তাদের আরও সময় দরকার। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ডিজিটাল পাকিস্তান ধারণা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমেরিকায় পড়াশোনাকারী গুগলের সাবেক সিনিয়র নির্বাহী তানিয়া আলদ্রুসকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেদিন ডিজিটাল পাকিস্তান কর্মসূচী ঘোষণা করেন সেদিনই তানিয়া তার দেশের নীতি নির্ধারকদের সামনে ডিজিটাল পাকিস্তান কর্মসূচীর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে তানিয়াকে বলতে হয়েছে যে, সেই দেশটির বড় সম্পদের নাম মানুষ-নতুন প্রজন্মের মানুষ। তার দেয়া তথ্য অনুসারে পাকিস্তানে ২৫ বছরের কম বয়সের দশ কোটি (মোট জনসংখ্যা ২০ কোটি) মানুষ আছে এবং তারাই পাকিস্তানের সম্পদ। তানিয়া পাকিস্তানের সাত কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কথাও উল্লেখ করেন। তানিয়ার লক্ষ্য অনুসারে আমি চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেলাম। তানিয়া মনে করেন, সংযুক্তি হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার মতে একইভাবে তথ্যে প্রবেশাধিকার অতি প্রয়োজনীয়। তিনি দ্বিতীয় অগ্রাধিকার প্রদান করেন ডিজিটাল অবকাঠামোর ওপর। তিনি যদি সংযুক্তি ও অবকাঠামোকে একই এজেন্ডা হিসেবে দেখতেন তবে সম্ভবত সঠিক কাজটি হতো। তানিয়ার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মানবসম্পদ। চতুর্থটি হলো উদ্ভাবন ও উদ্যোগ। একেবারে নিরপেক্ষভাবে বললে তানিয়ার ভাবনা দুনিয়া ছাড়া নয়। বিশ্বের প্রায় সকল দেশই তার ডিজিটাইজেশনে এসব বিষয়কে গুরুত্ব প্রদান করে। আমরা বাংলাদেশ অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ডিজিটাল সাম্য সমাজ গড়ে তোলার কর্মসূচী হাতে নিয়েছি এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সংকল্প গ্রহণ করেছি। তাদের বঙ্গবন্ধু নেই, স্বপ্নের পাকিস্তান গড়ারও তেমন কিছু নেই। বরং মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হবার সুযোগই তাদের বেশি। তানিয়ার ইতিহাস পড়তে গিয়েই আমি বিস্মিত হয়ে পড়েছি যে, ১৯ সালের ডিসেম্বরের ৫ তারিখে ডিজিটাল পাকিস্তান ঘোষণা করা হলেও বস্তুত ডিজিটাল পাকিস্তান নিয়ে পাকিস্তানে আলোচনা হচ্ছে আরও আগে থেকে। আমি করাচীর বিখ্যাত ডন পত্রিকায় ১৫ মার্চ ২০১৭ সালে নাদিম হোসেন নামক একজনের একটি নিবন্ধ পেয়েছি যাতে তিনি পাকিস্তানীদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে আসছিলেন যে, বিশ্বটা ডিজিটাল বিপ্লব করছে এবং পাকিস্তান সেই বিপ্লব থেকে দূরে থাকতে পারে না। তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন যে As you read this, a revolutionary shift is happening in the way the world works, with economies across the planet going digital fast. A countrys progress in digital transformation is measured using the Information and Communication Technology (ICT) framework. While technology has become a byuword and everybody intuitively knows that technology is good, its not as obvious as a nwe motorway or power project. Economists have determined that there is direct correlation between connectivity in a country and its GDP growth. তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির আবশ্যকতাকে নতুন একটি মহাসড়ক বা একটি বিদ্যুত কেন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ’১৬ সালের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে লেখেন, The Huawei Global Connectivity Index 2016 assessed 50 countries. Combined, these accounted for 78pc of the global population and 90pc of global GDP. Unsurprisingly, Pakistan occupied the 50th slot in a list of 50. We were also ranked last in competitiveness, innovation and productivity. May be comparing Pakistan on a global basis is unfair. However, even if we were to compare key ICT indicators such as total mobile penetration, unique mobile subscribers, 3G/4G and smartphone penetration with South Asian countries like Bangladesh and Sri Lanka, we still lag behind. This is to be expected as we not only lack a national digital policy, we have also not invested in the bare minimum required to lay the foundations of ICT. In order to create the road map for Digital Pakistan, we must first identify the backbone of digitalisation, the digital enablers, and finally create the required digital ecosystem. পঞ্চাশটি দেশের মাঝে ৫০তম দেশ হবার প্রেক্ষিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানী নাদিম হোসেন তার নিবন্ধে এই বিষয়ে দুঃখ ও বেদনা প্রকাশ করার পাশাপাশি অবিলম্বে ইন্টারনেটের প্রসার তথা ব্রডব্যান্ডের সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে নাদিম হোসেনের ক্ষোভের যথাযথ কারণও রয়েছে। পাকিস্তানের আইটি ও টেলিকম মন্ত্রণালয় সুদীর্ঘ সময় জুড়ে ডিজিটাল পাকিস্তান নীতিমালা প্রণয়ন করলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেটি অনুমোদন করেননি। অবশেষে গাধার পানি ঘোলা করে খাবার মতো চারপাশে প্রচ- চাপ অনুভব করে ২০১৮ সালের ২২ মে ইমরান খান ডিজিটাল পাকিস্তান নীতিমালা মন্ত্রিপরিষদে পাস করেন। আইটি ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রণীত এই নীতিমালায় ১৮টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যাতে আইনী অবকাঠামো, অবকাঠামো নির্মাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন সফটওয়্যার রফতানি নারীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি স্থানীয় ভাষা, স্থানীয়ভাবে হার্ডওয়্যার উৎপাদন, প্রতিবন্ধী, ওপেন সোর্স, ই-কৃষি, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, বাণিজ্য, বিচার শিক্ষা, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্স এবং ক্লাউড কম্পিউটিং রয়েছে। নীতিমালাটি দেখেই বোঝা যায় যে, পাকিস্তানীরা ১৮ সালের দুনিয়াকে উপলব্ধিই করতে পারেনি। ৫জি, ডিজিটাল প্রযুক্তি, সংযুক্তি এবং জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ গড়ে তোলার কথা ভাবতেও পারেনি। তানিয়া নিজে বলেছেন, তাকে মেইল দিয়ে ইমরান খানকে সচেতন করতে হয়েছে। একদিকে ধন্যবাদ দিই পাকিস্তানকে যে তারা অন্তত তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার বদলে ডিজিটাল পাকিস্তান নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আমি সেই আদিকাল থেকে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ নীতিমালা হিসিবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেও সফল হইনি। বিশেষ করে ’৭-৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমাদের পন্ডিত ব্যক্তিগণ যখন তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার নতুন সংস্করণ তৈরি করেন তখন তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটিই গ্রহণ করতে সম্মত হননি। এখন টের পাচ্ছি আমাদের মাঝে তখনও পাকিস্তানী ভূত বিরাজ করছিল। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা না করতেন তবে এখনও আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ও ই-এর জগতে বাস করতাম। একথা সত্য যে, সারা দুনিয়াতেই ডিজিটাল শব্দটি প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে খুব সম্প্রতি। আমি নিশ্চিতভাবেই একথা বলতে পারি যে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকলে আমরা কেবল যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা থেকে বঞ্চিত হতাম তাই নয়, বরং গত ১১ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে অভাবনীয় কর্মকান্ড অব্যাহত আছে তা-ও মোটেই হতো না। আমি এখনও প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটা সামনে যেতে বলেন আমরা সরকারের লোকজন তার গতিতে চলতে পারি না। আমি এটাও নিশ্চিত যে শেখ হাসিনার গতিতে আমরা কাজ করতে পারলে আমাদের আজকের অগ্রগতি আরও বহুদূর যেতে পারত। যাহোক তবুও বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। বিদ্যমান অবস্থাতে আমাদের নতুন প্রজন্মকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই যে, পাকিস্তান বাংলাদেশের এগারো বছর পরে তার দেখানো পথে হাঁটতে শুরু করল। বাঙালী ও বাংলাদেশের পথ অনুসরণ করার জন্য স্বাগত জানাই হে পাকিস্তান। তোমরা আমাদের জাতির পিতার পথ ধর ও আমাদের সোনার বাংলার রূপরেখা অনুসরণ কর। মনে রেখ ২০৪১ সালে আমরা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করছি যখন আমাদের দেশটি উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে। ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর ১৯ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কী-বোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক
×