ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাগিরা মোর্শেদ হত্যা ॥ তদন্তে আরো ৬০ দিন

প্রকাশিত: ০১:০৯, ২০ নভেম্বর ২০১৯

সাগিরা মোর্শেদ হত্যা  ॥ তদন্তে আরো ৬০ দিন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ৩০ বছর আগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুলের সামনে সাগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আরো ৬০ দিন সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী। এর আগে গত ২৬ জুন এই মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুননিসা নুন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যান। বিকাল ৫টায় সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড় দিলে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ওই দিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাতজন সাক্ষীর। সাক্ষ্যে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন মারুফ রেজা। যিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়। ১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেওয়া হয়।
×