ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিলচরে কালিকা প্রসাদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বহ্নিশিখা

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 শিলচরে কালিকা প্রসাদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বহ্নিশিখা

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ অসম রাজ্য সরকার ও ড্যান্সার সার্কেলের যৌথ আয়োজনে শিলচরে লোকসঙ্গীতশিল্পী এবং গবেষক কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যের ৪৯তম জন্মদিন উদ্যাপন হয়। শিলচরের বঙ্গভবন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্বালন ও কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জন্মোৎসবের উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, অসম রাজ্য সরকারের মন্ত্রী পরিমল শুল্কবৈদ্য, শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পালসহ বিশিষ্টজনেরা। গোলাম কুদ্দুছ কালিকা প্রসাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলা সঙ্গীত-বিশেষ করে লোকসঙ্গীতের প্রচার ও প্রসারে তার অসামান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, কালিকা প্রসাদের উদ্যোগ নবীন প্রজন্মের শিল্পীদের লোকসঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে নিঃসন্দেহে। তিনি দু’দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলায় সংস্কৃতি বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বহ্নিশিখা ভুবন মাঝি চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান কালিকা প্রসাদের লেখা ও সুর করা ‘আমি তোমারই তোমারই তোমারই নাম গাই’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তাদের পরিবেশনা শুরু করে। এছাড়া আব্দুল লতিফের ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করিলিরে’, গৌরিপ্রসন্ন মজুমদারের কথা ও শ্যামল গুপ্তের সুরে ‘আমরা সবাই বাঙ্গালী’, হাছন রাজার গান- ‘বাউলা কে বানাইলোরে’, গিরীন চক্রবর্তীর ‘নাও ছাড়িয়া দে’, ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’, শাহ আব্দুল করিমের ‘কোন মেস্তরী নাও বানাইলো’, নজরুল সঙ্গীত ‘রুমঝুম রুমঝুম কে বাজায়’, জালাল উদ্দিনের গান ‘রসিক আমার মন বান্ধিয়া’, রাধারমনের ধামাইল গান ‘রসে রঙ্গে রাই রঙ্গিনী নাচিয়া বেড়ায়’, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’সহ বেশ কিছু গান পরিবেশন করে। বহ্নিশিখা ছাড়াও গুয়াহাটি, ত্রিপুরা ও শিলচরের বিশিষ্ট শিল্পীরা সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন করে। শিলচর সফররত বহ্নিশিখাকে ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শিলচরে অবস্থিত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পক্ষ থেকে নিজস্ব অডিটরিয়ামে সংবর্ধনা প্রদান করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর শিবাজী। দলের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এবং সঙ্গীত পরিচালক আবিদা রহমান সেতুকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা ছাড়াও দলের সকল সদস্যকে উত্তরীয় দেয়া হয়। সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারত এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। গোলাম কুদ্দুছের নেতৃত্বে ভারত সফররত ১৪ জন শিল্পীরা হলেন আবিদা রহমান সেতু, উর্মি হালদার, সাহিদা রহমান সুরভী, সুনায়না সিদ্দিকী, জান্নাত ফেরদৌস পিংকী, সোহাগ চন্দ্র সাহা শিমুল, আসিফ ইকবাল সৌরভ, জাহিদুল ইসলাম, বিপ্লব কুমার শীল, তুলসী সাহা, ডালিম কুমার বড়ুয়া ও তারেক আলী মিলন।
×