ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছিনতাইয়ে চক্রে জড়িত এএসআই, রায় পিছিয়েছে

প্রকাশিত: ০১:২২, ১৯ আগস্ট ২০১৯

ছিনতাইয়ে চক্রে জড়িত এএসআই, রায় পিছিয়েছে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) দুজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়েছে। আজ সোমবার রায় দেওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৩ এর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী রায় ঘোষণার পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন। গত ৩ জুলাই একই কারণে রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়। আসামিরা হলেন, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) এবং মাসুম বিল্লাহ। আলমগীর হোসেন যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে। তাদের বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষাধিক টাকার সমপরিমাণ মার্কিন ডলার ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে মো. ইলিয়াস জানান, তিনি লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটের এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল বেলা ৩টার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেট কার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেন। একপর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধা হয়। এরপর তার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি আরো জানান, ওই সময় ইলিয়াসের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করেন। অপর চারজন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ওই ঘটনায় জড়িত এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমনের নাম জানান। পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এএসআই আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মাসুম বিল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিক। তিনি আনোয়ার হোসেন ও মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। হাবিব ডলার, রাশেদ, মো. সুমন ও সজলকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৯ জুন ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
×