মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আর মাত্র ৮ দিন বাকি ঈদ-উল-আজহার। গরু বাজারকে ঘিরে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রখর। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে এবার গরু বাজারে উড়বে ড্রোন ক্যামেরা। পুলিশী নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই ড্রোন ক্যামেরা। আতঙ্কে আছে চাঁদাবাজ ও জাল টাকার কারবারিরা। আর পুলিশের টার্গেট অপরাধী দমন ও অপরাধ রোধ। এছাড়াও এই ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধ দমনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বেশকিছু পদক্ষেপ ও সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ। র্যাব ও পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তায় বাড়ি থেকে পশুর হাট পর্যন্ত পাঁচ হাজার র্যাব সদস্য, পুলিশ ও এপিবিএন কাজ করবে নগরবাসীর নিরাপত্তায়। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ড্রোন ক্যামেরা, সার্চওয়ে গেট, ওয়াচ টাওয়ার ও থাকছে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা। নগদ টাকা বহনে পুলিশী স্কর্ট দেয়া হবে কোন ধরনের সার্ভিস চার্জ ছাড়াই।
এবার ঈদে ৫ পাঁচ সেক্টরে চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে যারা কোরবানির পশুর হাটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা তাদের নিরাপত্তা। যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাট এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন। পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয় ও পরিবহনে নিরাপত্তা এবং ঈদের আনন্দে পর্যটকরা যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকেন সেজন্য ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে দর্শনীয় স্থানসহ আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ।
এদিকে, নগরীর ১১ পশুর হাটে নিরাপত্তা, বাস স্টেশন, রেল স্টেশন, চার শতাধিক ঈদ জামাত, ৫৪ এলাকাভিত্তিক কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ের স্থান, ১৫ বিনোদন কেন্দ্র এবং ১৪৬ আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: