ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হত্যা মামলায় একজনের বদলে আরেকজন জেলে

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ৬ মে ২০১৯

 হত্যা মামলায় একজনের বদলে আরেকজন জেলে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গার সবুজ বিশ্বাসকে পুলিশ জনি নামে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদরের বেড়বাড়ি গ্রামের মিঠু শেখ হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি পলাতক জনির গ্রেফতারি পরোয়ানায় পুলিশ তাকে আটক করে। সবুজ যে জনি নয় পুলিশকে তা কোনভাবে বুঝাতে পারেনি স্বজনেরা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সবুজকে আটক করে জনি বলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সবুজের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, পুলিশ সবুজকে জনি নামে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। সবুজ দুইমাসের অধিক সময় কারাগারে আটক আছে। সবুজ যে জনি নয় তার প্রমাণ হিসেবে আদালতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছি। সবুজের বিষয়ে আদালতের কোন সিদ্ধান্ত এখনও পাওয়া যায়নি। সবুজের পিতা খাইরুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, তার ছেলে পেশায় একজন ড্রাইভার। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানা পুলিশ তার নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে আটক করে নিয়ে যায়। সবুজ যে জনি নয় পুলিশকে তা কোনভাবে বোঝাতে পারিনি আমরা। আদালতে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন যশোর সদরের বেড়বাড়ি গ্রামের মিঠু শেখ হত্যা মামলায় সবুজকে চার্জশীটভুক্ত আসামি জনি বলে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এ মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৯ জন। যার মধ্যে ৪ নম্বর আসামি খোলাডাঙ্গার খাইরুলের ছেলে জনি। মামলার চার্জশীটে জনিকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, খোলাডাঙ্গা গ্রামের খাইরুল নামে আরও কয়েকজন আছে। তাদের ছেলেরাও আমার ছেলে বয়সী। প্রকৃতপক্ষে আমার ছেলে সবুজ বিশ্বাস কোন হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত নয়। জনি নামে কেউ হত্যাক-ের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সে তার ছেলে নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি হত্যা মামলার আসামি জনির দায় সবুজের ওপর না চাপিয়ে দ্রুত মুক্তির বিষয়ে পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পুলেরহাট বাজার থেকে বেড়বাড়ি গ্রামের মিঠু শেখকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তফসিডাঙ্গার ইসমাইল ও খোলাডাঙ্গা কদমতলার জনি। পরদিন আরিচপুর বিলের হলুদ ক্ষেতের মধ্যে মিঠুর লাশ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিহতের ভাই ইসরাইল বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটভুক্ত ৫ নম্বর আসামি হলো খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার খায়রুলের ছেলে জনি (২৬)। মামলাটি বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে বিচারাধীন আছে। জনি পলাতক থাকায় এ আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
×