ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে উদীচী

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে উদীচী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে সমূলে বিনাশ, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখা এবং বাংলার মাটিতে জঙ্গীগোষ্ঠীর সব ধরনের কর্মকা- নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গভীর প্রদ্ধা ও ভালবাসায় নেত্রকোনা বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণ করল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নেত্রকোনা হত্যাকা-ের ১৩তম বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণে শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে উদীচী আয়োজন করে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ে মৌলবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ঘৃণ্য হামলায় প্রাণ হারান সংগঠনের তৎকালীন সহ-সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেন, সংগঠন বিষয়ক সম্পাদক সুদীপ্তা পাল শেলীসহ আটজন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী’র শিল্পীরা। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, মাহমুদ সেলিম, প্রবীর সরদার, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে এবং হামলার সময় নেত্রকোনা জেলা সংসদের নাট্য বিষয়ক সম্পাদক জয়শ্রী বীথি। আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম। এতে বক্তারা বলেন, ’৭১-এর পরাজিত শক্তি আবারও বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গীগোষ্ঠী নানাভাবে তাদের অপকৌশল প্রয়োগে সচেষ্ট রয়েছে। তাদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার উৎস বন্ধ করতে না পারলে এদেশকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য তাদের যে অপচেষ্টা তা রোখা কঠিন হবে। তবে এদেশের প্রগতিশীল জনতা সেই চেষ্টা কখনই সফল হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেন তারা। ভবিষ্যতে ভিন্ন কোন লেবাসে বা অন্য কোন দলের কাঁধে ভর করে স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী অপশক্তি যেন আর কখনই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে এ সময় সবার প্রতি আহ্বান জানান উদীচী নেতৃবৃন্দ। নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ, ঢাকা মহানগর সংসদ এবং ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় আলোক প্রজ্বালন করা হয়। ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ের লাগোয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন শতদল গোষ্ঠীর কার্যালয়ে একটি বোমা পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি খাজা হায়দার হোসেন এবং সুদীপ্তা পাল শেলীসহ উদীচী’র নেতৃবৃন্দও ভিড় করেন ঘটনাটি দেখতে। এর ঘণ্টা খানেক পর সাইকেল আরোহী এক যুবক নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে উদীচী নেতৃবৃন্দের কাছাকাছি পৌঁছেই তার সাইকেলে বহন করে আনা বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটালে ঘটনাস্থলেই মারা যান উদীচী নেত্রকোনা জেলা সংসদের সে সময়কার সহ-সাধারণ সম্পাদক খাজা হায়দার হোসেনসহ সাতজন। জাদুঘরে সেমন্তি মঞ্জুরির রবীন্দ্র সঙ্গীত সন্ধ্যা ॥ রবীন্দ্রনাথের গানের সুরের শ্রোতার হৃদয় রাঙালেন সেমন্তি মঞ্জুরি। শনিবার প্রতিশ্রুতিশীল এই শিল্পীর রবীন্দ্রসঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। সঙ্গীতানুষ্ঠানটির আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (আইজিসিসি) রবীন্দ্রসঙ্গীতের এ আসরে সেমন্তি মঞ্জুরি গেয়ে শোনান ‘বিরহ মধুর হলো আজি’, ‘কান্না হাসির দোল দোলানো’, ‘কে গো অন্তরতম সে’, ‘আমি কান পেতে রই’, ‘তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা’ ‘হেমন্তে কোন বসন্তেরই বাণী’সহ ১৫টি গান।
×