ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে জাল টাকা প্রস্তুতের সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ৬

প্রকাশিত: ০২:২২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাজধানীতে জাল টাকা প্রস্তুতের সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ৬

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে আবারও জালনোট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কারখানা থেকে অর্ধকোটি টাকার জালনোট ও অন্তত সাত কোটি টাকার জালনোট প্রস্তুতের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। কারখানা স্থাপনসহ জালনোট প্রস্তুতকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঢাকার তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকার একটি বাড়ির ছয়তলা থেকে জালনোট প্রস্তুতে কারখানাটি আবিস্কৃত হয়। কারখানা থেকে জব্দ হয় জালটাকা বিক্রির আসল প্রায় ৩০ হাজার টাকা, ৫১ লাখ জালটাকা, একটি ল্যাপটপ, দুটি কালার প্রিন্টার ও জালটাকা তৈরির সরঞ্জাম। গ্রেফতার করা হয় আবুল হোসেন ওরফে ইমন (৩৫), শেখ সুমন (৩২), ছগির হোসেন ওরফে শাহীন (৪২), ইকবাল হোসেন (৩২), স্বপ্না (১৯) ও তৌকীর আহম্মেদ ওরফে সুজনকে (৩০)। ডিবির উত্তর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) সুমন কান্তি চৌধুরী জানান, বাড়িটির ছয়তলার বাসিন্দা আবুল হোসেন ওরফে ইমনের ভাড়া বাসায় কারখানাটি স্থাপন করেছিল গ্রেফতারকৃতরা। ইমন রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জালনোট প্রস্তুত ও ক্রয়-বিক্রয় চক্রের অন্যতম হোতা। সেই দেশের সর্বোচ্চ জালনোট প্রস্তুতকারী। ২০১৩ সালে ইমন পৃথকভাবে নিজেই জালনোট তৈরির কারখানা স্থাপন করে জালটাকা ছাপিয়ে বাজারজাত করে আসছিল। সে প্রতিমাসে প্রায় এককোটি টাকার জালনোট তৈরি করে। পরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছিল। এই ডিবি কর্মকর্তা বলছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে সে জালনোট তৈরি করছিল। সে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার জালনোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল। তিনি জানান, প্রতি লাখ জালটাকা তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। এসব জালটাকা সে প্রতিলাখ পাইকারী হারে ১৪/১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। এরা আবার প্রতি লাখ জালটাকা ২০/২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতো। প্রান্তিক পর্যায়ে জালনোটগুলো প্রতি লাখ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। মাঠ পর্যায়ে এসব জালটাকা দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনতো। পরবর্তীতে ওইসব জিনিসপত্র বিক্রি করে আসল টাকা গচ্ছিত করতো।
×