অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের রফতানি পণ্য প্রায় ১৩শ’। কিন্তু এত সংখ্যক পণ্য থাকলেও মূলত নির্ভরশীলতা সেই তৈরি পোশাক খাতেই। অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, রফতানি খাতের পরিসর বাড়াতে হলে অন্তত আরও ৫ থেকে ১০টি খাতকে বড় আকারে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। পণ্যের বহুমুখীকরণে তাদের পরামর্শ, অন্যান্য খাতকেও তৈরি পোশাক খাতের মতো সুযোগ সুবিধা দেয়ার। পাশাপাশি জোড় দেন মানসম্মত গবেষণা, উদ্ভাবনী শক্তি ও নীতি সহায়তা বৃদ্ধির ওপর।
রফতানি পণ্যের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। রফতানি আয়ে তৈরি পোশাক খাত বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। তবে এর বাইরে আর কোন খাতই এত বড় আকারে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। সংখ্যার হিসাবে দেশের রফতানি পণ্য প্রায় ১৩শ’। এর মধ্যে অন্তত কয়েকটি খাতকে তৈরি পোশাক খাতের কাছাকাছি আনলে রফতানি খাত আরও সমৃদ্ধ হবে বলে অভিমত এই অর্থনীতিবিদের। তার মতে পণ্যের বহুমুখীকরণে অন্যান্য খাতকেও তৈরি পোশাক খাতের মত সুযোগ সুবিধা দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি শুধু অভ্যন্তরীণ শিল্প প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব না দিয়ে রফতানিমুখী এবং রফতানি সহায়ক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতির অভিমত গবেষণা, উদ্ভাবনী শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি নীতি ও প্রণোদনা সহায়তা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন রফতানি পণ্যকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব না দিয়ে সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।