ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জেলে বসে জঙ্গী হামলার ছক ॥ ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২৩ জুন ২০১৮

  জেলে বসে জঙ্গী হামলার  ছক ॥ ইন্দোনেশিয়ায়  ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড

দুই বছর আগে জাকার্তার প্রাণকেন্দ্রে হওয়া আত্মঘাতী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এক ধর্মীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার একটি আদালত। আমান আবদুর রহমান নামে ৪৬ বছর বয়সী ওই ধর্মীয় নেতার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোগাযোগ ছিল। জেলে থাকা অবস্থাতেই তিনি ২০১৬ সালের ওই সন্ত্রাসী হামলার ছক এঁটেছিলেন বলে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তাদের। জাকার্তার স্টারবাকসে ওই আত্মঘাতী হামলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। অভিযুক্ত আবদুর রহমান স্থানীয় একটি জঙ্গীগোষ্ঠীর আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবেও পরিচিত।-খবর বিবিসির। ২০১৬ সালের ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামিক স্টেটের যোগসাজশে হওয়া প্রথম কোন হামলা বলে দাবি দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। হামলার ছয় বছর আগে থেকেই জেলে অবস্থান করছিলেন আবদুর রহমান। কারাপ্রকোষ্ঠে বসে তার করা পরিকল্পনাতেই দুই বছর আগের ওই হামলা হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা। সেবারের সন্ত্রাসী হামলায় স্টারবাকস ছাড়াও পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকি বিস্ফোরিত হয়েছিল। বিদেশী দূতাবাস ভবন ও জাতিসংঘের বিভিন্ন দফতরের কাছাকাছি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলার সময় স্টারবাকস ভবনের ভেতরে আশ্রয় নেয়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি বিনিময়ও হয়েছিল। হামলাকারী চারজনের মধ্যে দুজন বোমায় নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন, গোলাগুলিতে মারা পড়েন বাকি দুজন। শুক্রবারের রায়ে আবদুর রহমানকে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার’ দায়ে অভিযুক্ত করে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক জেমা আনসারুত দৌলাহর (জেএডি) আধ্যাত্মিক নেতা তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ আগেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সমর্থকদের সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে বললেও কখনই ইন্দোনেশিয়ায় হামলার আদেশ দেননি বলেও দাবি এ ধর্মীয় নেতার। জঙ্গী জেএডিকে ইন্দোনেশিয়ায় আইএসের একমাত্র সমর্থনপুষ্ট দল হিসেবেই মনে করা হয়।
×