ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অমিত দাস

জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৩১ মে ২০১৮

জনদুর্ভোগ

রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে বৃষ্টিবর্ষণে জলাবদ্ধতায় জনজীবনে যে জনদুর্ভোগ নেমে এসেছে তা গোটা জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। কেননা এই দুটি মহানগরের উন্নতি অবনতির সঙ্গে সমগ্র জাতির ভাল-মন্দ জড়িত। এদেশের কোটি জনতার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক এই দুটি মহানগরী। আর বন্দরনগরীকে তো বলা হয় বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। নগর হলো সভ্যতার নিদর্শন উন্নত মানব সংস্কৃতির পরিচায়ক। প্রশ্ন হচ্ছে মহানগরে আজ নাগরিকজীবন কতটুকু নিরাপদ ও নির্বিঘœ। বর্ষণের পানিতে নগরের রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে নর্দমার নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে গায়ের পোশাক ভিজিয়ে পথচারীদের ছাত্রছাত্রীদের অফিসগামী লোকজনের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি। আর পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় তো যানবাহনও চলে না ফলে এই মহানগরের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে জনসাধারণ হেঁটে গন্তব্যস্থানেও যেতে পারে না। এটা যে কতবড় ভোগান্তি তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জে যখন টিউশনি করতাম দেখেছি নিউমার্কেট রিয়াজুদ্দিনবাজার আন্দরকিল্লা বক্সির হাটের রাস্তাগুলোও পানিতে ডুবে যেত। তখন দুর্দশা আর দুঃখের অন্ত থাকত না। এককথায় জলাবদ্ধতা সবকিছু স্থবির করে দেয়। জলাবদ্ধতা আজ বাংলাদেশে এক জটিল সমস্যা। এই সমস্যার ভুক্তভোগী নগরবাসী। কারণ বিনা কার্য হয় না। নগরের নিকটবর্তী নদ-নদী খাল পুকুরডোবা ভরাট করে ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অপরিণামদর্শী বাস্তুব্যবসায়ীদের নগরের যত্রতত্র নতুন নতুন আবাসন তৈরির মতো জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকা- আর শিল্পকারখানার শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা জলবায়ুর পরিবর্তন, দীর্ঘদিন ধরে নগরের নালানর্দমার সংস্কার না হওয়া খালগুলোর খনন না হওয়া জীবন জীবিকার তাগিদে দরিদ্রজনসাধারণের প্রতিদিনই শহরে হুমড়ি খেয়ে পড়া, কা-জ্ঞানহীন নাগরিকদের নিত্যদিনের ব্যবহৃত তরকারির খোসা মুরগির পাখ পলিথিন প্লাস্টিক সামগ্রী আবর্জনা নর্দমায় নিক্ষেপ যা জনঅসচেতনতারই নামান্তর। জল নির্গমনের পথ কোথায়? জল তো পথে জমবেই আর জনগণকে ভোগাবেই। এই অসহনীয় অসুবিধা দুর্গতি দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণের পথ কোথায়? চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজ, নেত্রকোনা থেকে
×