ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুন্ডে রিজী গ্রুপের সুটের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ২৯ মে ২০১৮

সীতাকুন্ডে রিজী গ্রুপের সুটের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মগপুকুর এলাকায় রিজী গ্রুপের নিউ ডিং ফ্যাক্টরী সুটের কারখানায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর পর ফ্যাক্টরীর ও স্থানীয়রা কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসও যথা সময়ে আসে। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে পানিহীন অবস্থায় ও পানির যন্ত্রের জেনারেটর যান্ত্রিক ত্রুটির দেখে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের জোয়ানদের উপর হামলা চালায়। জানা যায়, উপজেলার মগপুকুর এলাকায় মামুন গং এর মালিকানাধীন রিজী গ্রুপের নিউ ডিং ফ্যাক্টরীতে শর্ট সার্কিট থেকে কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। সাথে সাথে কারখানায় নিয়োজিত কর্মকর্তা ও স্থানীয় এলাকাবাসী প্রথমে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে খরব দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের পানির টাংঙ্কি কোন পানি না থাকায় আগুন নিভানোর কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়। তাৎক্ষনাত ফায়ার সার্ভিসের জোয়ানদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী হামলা চালায়। পরে তাদের পানি সরবরাহের মেশিন চালু করতে চাইলে দেখা যায় ত্রুটি। এতে করে বিক্ষুপ্ত এলাকাবাসী আরও চড়াও ভাবে ক্ষেপে যায়। এক পর্যায়ে সীতাকুন্ডের ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়। আগুনের লেলিহান শিখা বেড়ে যাওয়া এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তারা তাদের ঘরের মূল্যবান জিনিস নিয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে। এতে করে কয়েকজন আহত হয়। কারখানা সংলগ্ন থাকা এক দোকানদার জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার তাৎক্ষনিক ভাবে আমরা কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। তারা ও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ফায়ার সার্ভিসের রিজাভ টাংঙ্কি কোন পানি না থাকায় আমাদের স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের এ কর্তব্যপরায়তা দেখে ক্ষেপে যায়। পরে তাৎক্ষনিক ভাবে সীতাকু- ফায়ার সার্ভিস খরব দিই। এবং তাদের একটি টিম এসে আগুনের নিভানোর চেষ্টা করে। পরে সাথে যোগ দেয় চট্টগ্রাম মহানগরীর ফায়ার সার্ভিস আগ্রাবাদের দুইটি, বায়েজিদ বোস্তামী একটি, এবং পরবর্তিতে যোগ দেয় কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে নি। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের উপর হামলার বিষয় ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল মান্নানকে ফোন করলে উনি জানান,‘আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছায় । তাতে কারখানার কিছু শ্রমিকরা ও স্থানীয়রা মিলে অযথা আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের উপর হামলা ও গাড়ী ভাংচুর করে। এরেই মধ্যে সীতাকু-, কুমিরা, বায়েজীদ ও আমাদের আগ্রাবাদের ছয়টি ইউনিট এখন আগুন নিভানোর চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রন করতে কতক্ষণ লাগে তা সঠিক ভাবে এ কর্মকর্তা বলতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বলেন,‘এ মুহুত্বে এটা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে এবং ফ্যাক্টরীর ভিতরে টুকতে পারলে ক্ষয়ক্ষতি নিধারণ করা যেত।’
×