শোকার্ত আফগানরা সোমবার কাবুলে তাদের প্রিয়জনদের সমাহিত করেন। রবিবার স্থানীয় একটি ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলায় শিশুসহ অন্তত ৫৭ জন নিহত ও ১শ’য়ের ওপর লোক আহত হন। এ ঘটনায় নির্বাচনী প্রস্তুতি কাজ ব্যাহত হবে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এএফপি।
আত্মঘাতী হামলাকারী রবিবার সকালে কাবুলে দীর্ঘ সারিবদ্ধ লোকজনের ভিড়ে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন সেখানে জাতীয় পরিচয় সনদপত্র নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল। অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। এলাকাটি ছিল শিয়া অধ্যূষিত। বিস্ফোরণের মাত্রা ব্যাপক হওয়া হতাহতের সংখ্যাও ছিল প্রচুর। জঙ্গী গ্রুপ আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক সঙ্গে এত লোক মারা যাওয়ার পর শোকে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যেখানে বহু লোক উপস্থিত হওয়ার মতো জায়গায় কেন নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না, এ নিয়ে তারা সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে। আহমাদ আহমাদি নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, তারা (সরকার) তাদের গ্রেফতার করে পরে ছেড়ে দিয়েছে যেন নিরীহ মানুষ হত্যা করতে পারে। আরেকজন লিখেছেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। সামনে এগোনোর পথ একটিই নির্বাচন এবং এই দুর্নীতিবাজ সরকারকে বিদায় দেয়া।
রবিবার ওই হামলার কিছুক্ষণ পরই নিহত অনেককে দাফন করা হয়েছে। কাবুলের শিয়াদের সবচেয়ে বড় সমাধি ক্ষেত্রেই বেশিরভাগের দাফন সম্পন্ন হয়। ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে হামলা থেকে আসন্ন পার্লামেন্ট ও জেলা কাউন্সিল নির্বাচন কতটা নির্বিঘেœ হতে পারে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: