ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক দুর্ঘটনায় রাবি কর্মচারী ও নারীসহ নিহত আট

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

সড়ক দুর্ঘটনায় রাবি কর্মচারী ও নারীসহ নিহত আট

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহীতে রাবি কর্মচারীসহ চারজন, টাঙ্গাইলে দুই নারী, মাগুরায় ব্যবসায়ী ও মাদারীপুরে রোগী নিহত হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। রাজশাহী পুঠিয়া, গোদাগাড়ী ও চারঘাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় (রাবি) কর্মচারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে চারঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় দুই যুবক ও পুঠিয়া এবং গোদাগাড়ীতে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ চৌদ্দপাই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৫০) এবং গোদাগাড়ী উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আজম আলীর ছেলে জুয়েল রানা (২৭), নাটোরের সুমন (২৪) ও হারুন (২৭)। নজরুল পুঠিয়ায়, জুয়েল গোদাগাড়ীতে ও অপর দুজন চারঘাটে নিহত হয়েছেন। পুঠিয়া থানার ওসি জানান, নিহত নজরুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে তিনি মোটরসাইকেলে চড়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে পুঠিয়া থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার বানেশ্বর এলাকায় একটি ট্রাক তাদের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নজরুল মারা যান। এরপর স্থানীয়রা মিজানুর রহমান বাবু নামের অপর এক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। এদিকে গোদাগাড়ী থানার ওসি হিফজুর আলম মুন্সি জানান, উপজেলার কামারপাড়া এলাকার একটি মসজিদে নামাজ পড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জুয়েল। এ সময় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে চিনিভর্তি একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই জুয়েল নিহত হন। এদিকে চারঘাট থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, দুপুরে দুই মোটরসাইকেল আরোহী বানেশ্বর-চারঘাট সড়ক দিয়ে বানেশ্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে চোঙ্গাতলা এলাকায় একটি বালুবাহী ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। দুজনের হেলমেট থাকলেও তা ভেঙ্গে গিয়ে তারা মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। ওসি জানান, নিহতরা হলেন সুমন (২৪) ও হারুন (২৭)। তাদের বাড়ি নাটোরের কানাইখালী বলে জানা গেছে। টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়কের কালিহাতী উপজেলার যদুরপাড়া মোড়ে বাস ও অটোরিক্সার সংঘর্ষে দু’নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- সোহেল রানার স্ত্রী রনি বেগম (২৬) এবং মৃত তোরাপ আলীর স্ত্রী তারা বানু (৫৫)। আহতরা হলেন- সোহেল রানা, অন্তর ও আবুল কাশেম। হতাহতদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নে বড় বিন্যাফৈর গ্রামে। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কালিহাতী থানার ওসি মোশারফ হোসেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল থেকে চালিত অটোরিক্সাযোগে ভূঞাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কালিহাতী উপজেলার যদুরপাড়া মোড়ে পৌঁছালে বিপরীতদিক থেকে আসা টাঙ্গাইলগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি যাত্রী দুই নারী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজির চালকসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। মাগুরা শুক্রবার দুপুরে মাগুরা যশোর ভায়া আড়পাড়া সড়কের শালিখা উপজেলার হাজামতলা সড়ক দুর্ঘটনায় জাবেদ হোসেন (৫৬) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত জাবেদ হোসেনের বাড়ি শালিখার পোড়াগাছি গ্রামে। নিহত জাবেদ হোসেন ছয়ঘরিয়া গ্রামে জামাইবাড়িতে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে । জানা গেছে , মাগুরা যশোর ভায়া আড়পাড়া সড়কের শালিখা উপজেলার হাজামতলায় একটি যাত্রীবাহী ইজিবাইকে পেছন থেকে একটি পিকআপ ধাক্কাদিলে ইজিবাইক থেকে ছিটকে পড়ে জাবেদ হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। নিহত জাবেদ হোসেন ছয়ঘরিয়া গ্রামে জামাইবাড়িতে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে । মাদারীপুর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা এলাকায় একটি রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স খাদে পড়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৭ জন। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রোগীবাহী একটি এ্যাম্বুলেন্স ঢাকা থেকে শিবচরের দিকে আসছিল। সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে কুয়াশার প্রকোপ তীব্র হলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায়। এতে এ্যাম্বুলেন্সে থাকা সাহেরা বেগম (৭০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হয় এ্যাম্বুলেন্সে থাকা আরও ৭ যাত্রী ও চালক। তাদের উদ্ধার করে শিবচর ও ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহত সাহেরা বেগম শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গ্রামের মোকছেদ মোল্লার স্ত্রী। চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে শিবচরে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন।
×