ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাঙ্গাবালিতে পানির মধ্যে খেয়াঘাট ॥ অর্থের অপচয়

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাঙ্গাবালিতে পানির মধ্যে খেয়াঘাট ॥ অর্থের অপচয়

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআ-া পারাপারের খেয়াঘাটে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ঘাট কোন কাজে লাগছে না। এটা পানির মধ্যে যেভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেভাবেই পড়ে আছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় লোকজনকে হাঁটু কিংবা কোমরপানিতে নেমেই খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনদের অভিযোগ, পাকা ঘাট নির্মাণের নামে ¯্রফে অর্থের অপচয় করা হয়েছে। যা দেখারও কেউ নেই। এলজিইডির রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আওতায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআ-া পারাপারের চরমোন্তাজ অংশে খেয়াঘাটে এ পাকাঘাট নির্মাণ করা হয়। চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সঙ্গে চরআ-ার মানুষের যোগাযোগ কেবল খেয়ানৌকা নির্ভর। এর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর একটি শাখা খাল। এ কারণে দু’পারের যোগাযোগ মাধ্যম খেয়া। তবে চরআ-া অংশে অনেক আগেই পাকাঘাট ছিল, কিন্তু চরমোন্তাজ অংশে তা ছিল না। এ কারণে এডিপির আওতায় এ পাকা খেয়াঘাট নির্মাণ করা হয়। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় তা কোন কাজে লাগছে না। চরআন্ডা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মনির পেয়াদা জানান, পাকা ঘাটটি কোন উপকারে আসছে না। কারণ ওটা পানির মধ্যে। সংযোগ সড়ক না থাকায় পানির মধ্যে নেমে খেয়া পারাপার হতে হয়। এজন্য লোকজনদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, সড়ক না থাকা সত্ত্বেও পানির মধ্যে পাকা খেয়াঘাট তৈরি করা হয়েছে। এতে কেবল অর্থের অপচয় হয়েছে। এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সেকেন্দার আলী বলেন, আগামী এডিপির বরাদ্দ থেকে সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
×