ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু রবিবার

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৯ মার্চ ২০১৭

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু রবিবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী রবিবার থেকে ১০ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারাদেশে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। কয়েক বছর ধরে ১ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও এবার ওই দিন শনিবার হওয়ায় একদিন পরে এই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আসন্ন পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বসছে পাবলিক পরীক্ষাসংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক। এতে সভপতিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সময়সূচী অনুযায়ী আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও মাদ্রাসার আলিম ও কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি বিএম পরীক্ষা রবিবার শুরু হয়ে চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষা শেষে পরদিন ১৬ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয় ৯ জুন। পরীক্ষা নেয়া হয় ৬৮ দিন। এবার ২৪ দিন সময় কমিয়ে ৪৪ দিনের পরীক্ষা সূচী সাজানো হয়েছে। পরীক্ষার শুরুতে এবার বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশ এবং পরে রচনামূলক অংশ অনুষ্ঠিত হবে। বহু নির্বাচনী পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের জন্য ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে তার ২৫ নম্বরের বহু নির্বাচনী পরীক্ষার সময় ২৫ মিনিট। সৃজনশীল অংশের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে দু’ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। এদিকে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। তবে প্রোগামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে না। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। আর কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতেও পারবে না। এইচএসসিতে প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হবে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস) পরীক্ষা। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় আলীম পরীক্ষা ২ এপ্রিল থেকে একযোগে শুরু হয়ে চলবে ৩ মে পর্যন্ত। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ মের মধ্যে শেষ হবে। প্রথম দিন কোরান মাজিদ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি বিএম (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) পরীক্ষা একই সময়ে শুরু হয়ে শেষ হবে ২৯ এপ্রিল। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত। প্রথম দিন বাংলা-১ (নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-২ (পুরাতন সিলেবাস) সকালে এবং বাংলা-১ (সৃজনশীল নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-২ (সৃজনশীল পুরাতন সিলেবাস) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষার সময়সূচী অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই। উৎসব ভাতা হিসেবে বৈশাখী ভাতা দাবি বেসরকারী শিক্ষকদের ॥ সরকারী চাকরিজীবীদের মতো বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও উৎসব ভাতা হিসেবে বৈশাখী ভাতা পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষকরা এ দাবি জানান। এ সময় শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, সরকারী বিধি অনুযায়ী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তকরণ ও ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির দাবিও তোলেন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা। মানববন্ধনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি অবিলম্বে মেনে নিন। অন্যথায় দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জাহান, সহসভাপতি সমরেন্দ্র নাথ রায়, মোঃ আব্দুল মালেক, মিসেস হাসিনা পারভীন, মোঃ আব্দুল মজিদ, সুনীল চন্দ্র পাল, মোঃ শামসুল হুদা প্রামাণিক, মোঃ ছফি উল্যা খান, মোঃ শাহে আলম, মোঃ জহির উদ্দিন বাবর, মোঃ মফিজ উদ্দিন ও অধ্যাপক ফজলুল হক।
×