ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুমন্ত গুপ্ত

উইমেন মার্চ ট্রাম্পবিরোধী প্রচারণায় মার্কিন সেলিব্রেটি

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

উইমেন মার্চ ট্রাম্পবিরোধী প্রচারণায় মার্কিন সেলিব্রেটি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আন্দোলন। দিনে দিনে সেই আন্দোলনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ নেমে এসেছে রাস্তায়। আমেরিকার নাগরিক হিসেবে বাদ যায়নি সেলিব্রেটিরাও। নিকোল কিডম্যান মেনে নিলেও হলিউডের অনেক তারকাই এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই ট্রাম্পবিরোধী মিছিলে তারকাদের সমাগম দিন দিন বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরের দিন প্রেসিডেন্টবিরোধী বিশাল মিছিলে অংশ নিয়েছেন অনেক তারকা। সেই মিছিলে নাম লিখিয়েছেন হলিউড অভিনেতা মার্ক রাফেলো, মাইকেল মুর, এলিস বাল্ডউইনসহ অনেকে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের অধীনে দেশটির নারীদের অধিকার নষ্ট হবে এমন আশঙ্কায় ওয়াশিংটনজুড়ে বিক্ষোভ হয় যেখানে যোগ দেন হাজার হাজার নারী। ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে নিজের অসন্তোষ গোপন রাখার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি পপসম্রাজ্ঞী বিক্ষোভ সমাবেশকে বিদ্রোহের শুরু বলে আখ্যায়িত করে বিখ্যাত গায়িকা ম্যাডোনা বলেন, ‘আমরা পিছে ফিরে যাব না।’ ট্রাম্পের অভিষেক বক্তব্য নিয়ে ম্যাডোনা বলেন, ‘আমি খুবই ক্ষুব্ধ। আমি হোয়াইট হাউস পতনের কথাও ভেবেছি।’ কেটি পেরি, স্কারলেট জনসন, প্যাট্রিসিয়া অরকুয়েটি ও মাইকেল মুরের মতো তারকারাও মিছিলে অংশ নিয়েছেন। এ সময় ম্যাডোনা তার বিখ্যাত গান ‘এক্সপ্রেস ইউরসেলফ’ পরিবেশন করে আন্দোলনকারীদের উৎসাহ দেন। ম্যাডোনা ও কেটি পেরি ছাড়াও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ‘আগলি বেটি’ খ্যাত অভিনেত্রী আমেরিকা ফেরেরা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট আমেরিকা নন, আমরাই আমেরিকা। আমরা এখানেই অবস্থান করব এবং আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলন প্রসঙ্গে কেটি পেরি তার টুইটারে লিখেন, একতা, সুরক্ষা, ক্ষমতা, উন্নতি। জেগে উঠো নারীরা। তৈরি হচ্ছি আমার বোনদের সঙ্গে ‘উইমেন মার্চ’ এ যোগ দিতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও পরিসংখ্যান বলছে, সে দেশে ট্রাম্প বিরোধীদের সংখ্যাই বেশি। নির্বাচনী প্রচারের সময় নারীদের নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। নারীদের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অশালীন বক্তব্য বা কথিত ‘পুরুষতান্ত্রিক আচরণের’ প্রতিবাদ জানাতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিলেন ম্যাডোনা। হিলারির সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নেন তিনি। তাছাড়া টিভি সিরিজ ‘কোয়ান্টিকো’ ও হলিউড সিনেমা ‘বেওয়াচ’ এর কারণে এই মুহূর্তে আমেরিকার বাসিন্দা হয়ে আছেন প্রিয়াঙ্কা। ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট করে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি এই শান্তিপ্রিয় ট্রাম্প বিরোধী মিছিলের অংশ না হতে পারার জন্য দুঃখিত। তবে আমার প্রতিবাদীদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। নিজেদের ক্ষুধার্ত এবং ক্ষুব্ধ বলেও দাবি করেন এই দুই তারকা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেবার জন্য বিতর্কের শিকার হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ম্যাডোনা। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তদন্ত করবে বলে জানা গেছে। তবে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে কিনা বা তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাটর্নির অফিস।
×