ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পার্কিংয়ের জায়গা আছে তো? তবেই গাড়ি কিনুন

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

পার্কিংয়ের জায়গা আছে তো? তবেই গাড়ি কিনুন

অনলাইন ডেস্ক ॥ আপনি কি মেট্রো শহরে থাকেন? আপনি কি গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন? যদি ভেবেই থাকেন কিনবেন, তা হলে একটু অপেক্ষা করুন। কারণ কেন্দ্র এ বিষয়ে একটি নতুন আইন আনার চিন্তাভাবনা করছে। কী সেই আইন? আপনার বাড়িতে গাড়ি পার্কিং করার জায়গা থাকলে তবেই নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন পাবেন। শুধু তাই নয় প্রমাণ দেখাতে হবে বাড়িতে পার্কিংয়ের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু বৃহস্পতিবার বলেন, “আমি খুব আগ্রহী বিষয়টি নিয়ে। এ বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী এবং রাজ্যগুলোর সঙ্গে কথা বলা হবে। তার পরেই সেই সিদ্ধান্তের দিকে এগোনো হবে।” কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক যদি এ ধরনের আইন আনার চিন্তাভাবনা করে, তা হলে এ বিষয়ে ভেবে দেখবে তারাও। যে হারে শহর ও শহরতলিতে গাড়ির সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে, তাতে পার্কিং নিয়ে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তা ছাড়া শহরের রাস্তাগুলোকে কী ভাবে যানজটমুক্ত করা যায় তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে বলে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানান। দূষণের কবলে এখন গোটা দেশ। যানবাহনের সংখ্যাবৃদ্ধি তার অন্যতম একটা কারণে বলেই মনে করেন পরিবেশবিদরা। যদি সেই যানবাহনেই রাশ টানা টানা যায়, তা হলে দূষণ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে। সম্প্রতি দিল্লি যে ভাবে ধূলো, ধোঁয়ার নাগপাশে জড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল, তা দেখে পরিবেশবিদরাও চমকে উঠেছিলেন। শুধু দিল্লি নয়, দেশের মেট্রোপলিটান শহরগুলির একই অবস্থা। দিল্লিতে গাড়ির দূষণ এড়াতে জোড়-বিজোড়ের আইনও প্রয়োগ করা হয়। নানা সমস্যার মুখে পড়ে অবশেষে সেই আইন থেকে পিছু হঠতে হয় কেজরীবাল সরকারকে। নগর পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ঠিকই, পাশাপাশি তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের পক্ষে এই আইনকে কার্যকর করা কিন্তু খুব কঠিন হবে। কেন এ রকম আশঙ্কার কথা শোনালেন তাঁরা? কারণ হিসাবে তাঁরা জানান, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করে রাজ্য পরিবহণ দফতর। পার্কিংয়ের বিষয়টি দেখে স্থানীয় প্রশাসন। এই সব দফতরের সমন্বয় সাধনই আইনের প্রথম বাধা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। প্রস্তাবিত এই আইনটি কিন্তু নতুন নয়। বিশ্বের অনেক মেট্রোপলিটান শহরেই এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। এবং তাতে সাফল্যও এসেছে। তবে সেই সঙ্গে সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজা হয়েছে। তাতে দূষণও কমেছে, গাড়ির গতিও বেড়েছে। যানজট কমেছে। নগর পরিকল্পক ও স্থপতি সুধীর ভোরা বলেন, “সরকার যদি এই আইনকে পরিকল্পিত ও যুক্তিসঙ্গত ভাবে প্রয়োগ করে তা হলে দিল্লির মতো শহরগুলিকে যানজটমুক্ত এবং দূষণমুক্ত করে তোলা যাবে।” তবে এক দল বিশেষজ্ঞের মতে, শুধু এই আইন প্রয়োগ করেই সমস্যা মেটানো যাবে না। পাশাপাশি, সরকারকে পার্কিং চার্জ, ঘিঞ্জি এলাকায় গাড়ি চালানোর জন্য লেভি চার্জ, এমনকী গাড়ি কিনতে মানুষকে অনুত্সাহী করতে গাড়ির ঋণের হারও বাড়াতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×