ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হেইলি সুকায়ামা

সিইওর এ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

সিইওর এ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার

টুইটার তার নেটওয়ার্কের এ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কখনও শৈথিল্য বা কার্পণ্যের পরিচয় দেয় না। সম্প্রতি কোম্পানিটি ‘অল্ট-রাইট’ আন্দোলনের বেশ কিছু হাই-প্রোফাইল এ্যাকাউন্ট বাদ দিয়েছে। আর ক’দিন আগে যে কাজ করেছে তা তো রীতিমতো তাক লাগানোর মতো। নিষেধাজ্ঞার খড়গ এমন একজনের ঘাড়ে মেরেছে যিনি টুইটারেরই যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসে। সেদিন রাতে ডরসের এ্যাকাউন্ট প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য উধাও বা অদৃশ্য হয়ে যায়। যখন ফের উদয় হলো তখন ডরসের লাখ লাখ অনুসারীর নাম উঠতে কিছুক্ষণ সময় লেগেছিল। একপর্যায়ে তো মাত্র ১৪২ জনের নাম দেখা গিয়েছিল। ডরসে ব্লিপের প্রাপ্তি স্বীকার করে এক বার্তায় জানান যে নেটওয়ার্কের অভ্যন্তরীণ ত্রুটির কারণে এ্যাকাউন্টটা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। টুইটারের শর্তানুযায়ী এ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে যদি দেখা যায় সেটি স্পাম এ্যাকাউন্ট বা টুইটারের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করে পরিচালিত হচ্ছে, যদি দেখা যায় অন্য ব্যবহারকারীরা দুর্ব্যবহার করার জন্য কোন নির্দিষ্ট এ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। সে সব ক্ষেত্রে কোম্পানি ওই অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। টুইটার যদি সন্দেহ করে যে কোন এ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে বা নিয়মরীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে সে ক্ষেত্রেও এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হতে পারে। কিন্তু ডরসের এ্যাকাউন্টের বেলায় এমন কিছুই ঘটেনি। হ্যাকারদের কোন বিচিত্র বার্তা ফিডে আসেনি এবং ডরসে নিজেও এমন কিছু বলেননি যা আপত্তিকর। প্রথমত ডরসের এ্যাকাউন্ট কেন নিষিদ্ধ করা হলো সে সম্পর্কে মন্তব্য চাওয়া হলে টুইটার তাৎক্ষণিকভাবে কোন জবাব দেয়নি। ভুলটা অল্প কিছুক্ষণের জন্য হলেও প্রচুর লোকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। অনেকে এই সুযোগে টুইটারের এ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধকরণ নীতির সমালোচনা করেন। অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেন যে অতীতে কোন কারণ ছাড়াই তাদের এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। টুইটারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সেন্সরশিপের অভিযোগও তোলা হয়। আবার অন্যদিকে টুইটার আরও এ্যাকাউন্ট কেন নিষিদ্ধ করছে না সেই সমালোচনাও করেছে অন্যরা। একজন তো এমনও বলেছে যে টুইটারের উচিত নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা। কারণ এ মুহূর্তে কোন সংলাপই রাজনৈতিক না হয়ে যায় না। ডরসে অবশ্য এসব অভিযোগের জবাব দিতে মোটেও ব্যগ্রতা দেখাননি। তার মুখে যে কাদার ছিটে লেগেছে তা মুছতেই তিনি বরং ব্যস্ত। আর যাই হোক টুইটার তার নিজের প্রধান নির্বাহীর এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে এর চেয়ে মজাদার ঘটনা আর কি-ইবা হতে পারে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
×