ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাবনায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা ব্যাহত

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ২৭ আগস্ট ২০১৬

পাবনায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা ব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ পাবনা পলিটেকনিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে ময়লার দুর্গন্ধ সহ্য করে প্রতিদিন পড়ালেখা চালাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকমহলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, পাবনা পৌরসভা শহরের বিভিন্ন মহল্লা থেকে ময়লা আবর্জনা এনে স্কুলটির পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমা করছে। এসব ময়লা আবর্জনা দুপুর বা বিকেলের দিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পৌরসভার এসব ময়লার স্তুপের উৎকট গন্ধ সহ্য করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করতে হচ্ছে। যেদিন এসব ময়লা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয় না তারপরদিন সকালে গন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এর সাথে যোগ হয়েছে পাশের পাড়ার পায়খানার দুর্গন্ধ। স্কুলের পাশের পাড়ার অন্তত ২৫টি বাড়ির পায়খানার সেফটি ট্যাংকের লাইন স্কুলের প্রাচীর ছিদ্র করে স্কুলের অঙ্গিনায় ড্রেনের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ড্রেন দিয়ে ওই পাড়ার পায়খানার ময়লা স্কুলের পিছনে জমা হচ্ছে। এছাড়াও পাশের মসজিদ ছাত্রাবাসসহ কয়েকটি বাড়ীর পায়খানার লাইন স্কুলের সেফটি ট্যাংকের সাথে জুড়ে দেওয়ায় পায়খানার দুর্গন্ধে শিশু শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট হয়ে পরেছে। এ অবস্থায় মাঝে মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীরা অসুস্থ্য হয়ে পরছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, দুর্গন্ধের কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন গড়ে ২০ ভাগ ছাত্র স্কুলে আসছে না। অনেক অভিভাবক ছাত্রদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিজলী দাস জানিয়েছেন, গন্ধের কারণে শিক্ষকরাই অতিষ্ট হয়ে পরেছেন। বিভিন্নমহলে জানিয়েও এর প্রতিকার হচ্ছে না। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পাবনা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ ড: মোরাদ হোসেন মোল্যার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোন প্রতিকার হয় নি। সর্বশেষ পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর এগিয়ে না এলে তার আর কি করার আছে বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে পাবনা সদর উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিভিন্নমহলে বিষয়টি জানানো হলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। কীভাবে বিষয়টি সুরাহা করা যায় সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ চান।
×